রংপুর প্রতিনিধি : সুদের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে মোকতারুল ইসলাম নামে এক সুদ ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে অপর সুদ ব্যবসায়ী তদিুল ইসলাম ও আল আমিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ।

গতকাল শনিবার রাতে মিঠাপুকুর উপজেলার বলদিপুকুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রোববার দুপুরে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সুদ ব্যবসায়ী তদিুল ইসলাম ও আল আমিন মিয়ার সাথে সুদ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মোকতারুল ইসলামের সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিঠাপুকুর উপজেলার অভিরাম নুরপুর গ্রামের কমল উদ্দিনের ছেলে মোকতারুল ইসলাম তার মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়।

তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি মিঠাপুকুর থানাকে জানালে পুলিশ ওইদিন রাতে উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের বলদিপুকুর এলাকার রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশ থেকে মোখতারুলের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, সুদ ব্যবসায়ী তদিুল ইসলাম ও আল আমিন মোকতারুলকে হত্যার দায়িত্ব দেয় কিলার খোরশেদকে। ওই দিন রাতে খোরশেদ মোকতারুলকে কোমল পানীয়র সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে পান করায়। এরপর তাকে উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের বলদিপুকুর পল্লি বিদ্যুৎ এলাকার রংপুর-ঢাকা মহাসকের পাশে নিয়ে যায়।

সেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করছিল আরও চার হত্যাকারী। এরপর হত্যাকারীরা মোকতারুল ইসলামকে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যার পর তার মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় নিহতের মা কল্পনা বেগম বাদি হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এঘটনার সাথে অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।