ভিডিও

পূর্ব বগুড়াবাসীর আরেক দুর্ভোগের নাম নারুলী গণকবর-দত্তবাড়ী সড়ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ১১:০৩ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ০১:৫৮ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : পূর্ব বগুড়াবাসীর দুর্ভোগের শুরু মূলত ফতেহ আলী ব্রিজকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পর থেকে। বগুড়ার মূল শহরের প্রবেশের অন্যতম এই ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে যেদিন এর উভয় পাশে পিলার স্থাপন করা হয় সেদিন থেকেই দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না এ জেলার পূর্বাঞ্চলের মানুষের।

পূর্ব বগুড়াবাসীর জন্য মূল শহরের প্রবেশে বর্তমানে অন্যতম অবলম্বন নারুলী গণকবর থেকে দত্তবাড়ী পর্যন্ত সড়ক। সড়কটির দৈর্ঘ্য ৭শ’ মিটার। এর সাড়ে ৫শ’ মিটার বগুড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড এবং দেড়শ’ মিটার অংশ ৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত।

সড়কটি দিয়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, গাবতলী উপজেলাসহ জামালপুর ও গাইবান্ধা জেলার অনেক মানুষ যাতায়াত করেন। পূর্ব বগুড়ার ভারি যানবাহনের সহজ যোগাযোগের অন্যতম ও একমাত্র সড়কও এটি। অথচ সড়কটির বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগে লাখ লাখ মানুষ। ২০০৪-০৬ সালের মধ্যে সড়কটি নির্মাণ হলেও এরপর আর কোন কাজ হয়নি সড়কটিতে।

অথচ দিনে দিনে সড়কটি পূর্ব বগুড়ার মানুষের জন্য পরিণত হয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে। সকটির দু’পাশে ৬নং ওয়ার্ডের তিন হাজার ২শ’ পরিবারের বসবাস। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে এলাকাটিতে। বগুড়ার তিনটি উপজেলার নির্মাণ অবকাঠামো থেকে শুরু করে কৃষিপণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয় সড়কটি।

অথচ ভাঙাচোরা সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ দীর্ঘ দিনের। এই দুর্ভোগ আরও দীর্ঘায়িত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের গভীর গর্তে পানি জমে এখন তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কটি এড়িয়ে বিকল্প পথ ব্যবহারেরও সুযোগ থাকলেও তা আরও দীর্ঘ হয়।

ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে স্থবিরতা এসেছে ওই এলাকার মানুষের জীবন যাপনে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির বেশিরভাগ অংশের কার্পেটিং উঠে গেছে। বর্তমানে সড়কটি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে খানাখন্দক, এবড়োথেবড়ো, ভাঙ্গাচোরায় যানবাহন বিকল হয়ে রাস্তায় আটকে থাকছে।

কার্পেটিং উঠে রাস্তার ইটের খোয়া বেড়িয়ে কোথাও কোথাও এত গভীর গর্ত হয়েছে যে, যানবাহন চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তা খারাপ হওয়ায় বেশিরভাগ যানবাহন এ রাস্তায় আসতে চায় না, আবার সহজ বিকল্পও নেই। এই এলাকার হাজার হাজার মানুষ সড়কটি দিয়ে বগুড়ার মূল শহরে প্রবেশ করেন। অথচ এমন দুর্ভোগেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজর পড়েনি সড়কটিতে। দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় সড়কটি বর্তমানে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবুও প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়েই সড়কটি দিয়ে চলাচল করছেন সবাই।

জানতে চাইলে বগুড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অথচ বগুড়া পৌরসভার অবহেলিত একটি সড়ক এটি। সড়কটি নির্মাণের পর থেকে মাঝে মাঝে কার্পেটিং করে সংস্কার হয়েছে মাত্র। কিন্তু গুরুত্ব বিবেচনা করে নতুন করে নির্মাণ করার চেষ্টা করেও বাজেট না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সড়কটি যে গুরুত্ব বহন করছে তাতে প্রথমে সড়কটিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে, এরপর আরসিসি ঢালাইয়ে রাস্তা নির্মাণ করা গেলে সড়কটি ব্যবহারের উপযোগী হবে। এই কাউন্সিলর আক্ষেপ করে বলেন, পরিকল্পনা থাকলেও শুধুমাত্র বগুড়া পৌরসভার বাজেট না থাকায় তা সম্পূর্ণ করা যাচ্ছে না। একমাত্র বিশেষ বরাদ্দ পেলেই সড়কটি আরসিটি ঢালাই করে নির্মাণ করলে এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ স্থায়ীভাবে লাঘব হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS