ভিডিও

বাড়ির চার পাশের জমিতে খামার করে সফল এক দম্পতি

স্থানীয়দের কাছে মডেল 

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ১০:৩৫ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ১০:৩৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামী-স্ত্রী মিলে বাড়ির চারপাশে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলা সমন্বিত মিশ্র খামার এলাকার মানুষের কাছে একটি মডেল খামার হিসেবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। খামারের অর্গানিক পদ্ধতির উৎপাদিত ফল-ফসল ও মাছ পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় বাজারে।  

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের বোয়ালিয়ায় গ্রামীণ পরিবেশে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর ঐকান্তিক চেষ্টায় গড়ে তোলা এই সমন্বনিত খামারটিতে রয়েছে ৪০ জাতের আম, আর ১০ জাতের কাঁঠাল, এছাড়াও রয়েছে মাল্টা, তেঁতুল, আমড়া, পেয়ারা, চালতা, সফেদা, সরিফা, আতাফল, গোলাপজাম, জাম, লিচু, পেঁপে, নটকন, নারিকেলসহ হরেক রকমের দেশি-বিদেশি মিশ্র ফল বাগান আর পুকুরে চাষ হচ্ছে দেশি কৈ, মাগুর, সিং এর পাশাপাশি নানা প্রজাতির মাছ আবার পাশের পুকুরে পালন হচ্ছে  হাঁস। পুকুর পাড়ের বিশাল শেডে গড়ে তোলা খামারে লালন পালন হচ্ছে গরু আর কবুতর। আবার আম, কাঁঠাল, পেঁপে সহ বিভিন্ন গাছের ছায়ায় বস্তায় চাষ হচ্ছে আদা।  

বাংলাদেশ পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর অশোক কুমার সিংহ তার স্ত্রী ঝুমা রায়ের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৬বিঘা জমিতে ২০০১ সালে স্বামী-স্ত্রী যৌথভাবে গড়ে তুলেছেন সমন্বিত এই বাণিজ্যক খামার। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় ২৩-২৪ বছরেই খামারটি এখন পরিপূর্ণ খামারে পরিণত হয়েছে। বছর জুড়ে এখানে নানা শাকসবজি ফলমুল, মাছ চাষের পাশাপাশি হাঁস, গরু, কবুতর পালন করা হচ্ছে। পুকুর পরে গাছের ছায়াযুক্ত পতিত জায়গায় চলছে বস্তায় আদা চাষ, এছাড়াও গরুর গোবর থেকে তৈরি বায়োগ্যাসে মেটানো হচ্ছে পারিবারিক জ্বালানি চাহিদা। সেই সাথে বিষমুক্ত অর্গানিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফল ফসল ও মাছ পারিবারিক চাহিদা যেমন মেটাচ্ছে, তেমনি বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন উদ্যোক্তা অশোক কুমার সিংহ ও তার স্ত্রী ঝুমা রায়। খামারের  বিভিন্ন কাজে সহায়তার জন্য বেশ কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা মোড় থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার উত্তরে বোয়ালিয়া এলাকায় এই খামারের অবস্থান। সরেজমিনে খামারে গিয়ে দেখা গেছে পারিবারিক চাহিদা মেটাতে গিয়ে তার গড়ে তুলেছেন বিশাল এক খামার।  খামার ঘুরে দেখা গেছে পেঁপের সাথে সাথী ফসল হিসেবে চাষ হচ্ছে আদা। পুকুর পাড়ের গাছের ছায়াযুক্ত পতিত জায়গায় চলছে বস্তায় আদা চাষ, খামার এক পাশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থাপিত বায়োগ্যাস প্লান্ট। যা দিয়ে চলে পারিবারিক রান্নার কাজ। আবার একপাশে রয়েছে দেশি বিদেশি নানা জাতের ফুলের সমৃদ্ধ বাগান। ফলে ফুলে ফসলে ভরা সমন্বিত খামারটি বেলা ডুবে যাওয়ার সাথে বিভিন্ন পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত করে তোলে পুরো এলাকা।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. মেহেদী হাসান বলেন, এ রকম সমন্বিত কৃষি খামারের কারণে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে নিজেরাও স্বাবলম্বী হতে পারবেন। পাশাপাশি বছর জুড়ে উৎপাদিত পুষ্টিসমৃদ্ধ নানা ফল-সফল বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশিপাশি পারিবারিক চাহিদা মেটাতে বড় ভূমিকা রাখবে। 
    



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS