ভিডিও

তাপদাহের পর স্বস্তি ও শান্তির বৃষ্টিতে ভিজল বগুড়া

১ ঘণ্টায় ২৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত 

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ০৯:০৫ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ১১:০৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : তীব্র দাবদাহের পর স্বস্তি ও শান্তির বৃষ্টিতে ভিজল বগুড়া। এতে করে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর আগে দিনের আলো ফোটার পর থেকেই তপ্ত সূর্যের দখলে ছিল প্রকৃতি। বিরতীহীন ভাবে তাপ বর্ষণ করে পুড়িয়েছে মানুষ প্রাণিকূল ও গাছপালাকে। এমন তাপবর্ষণ ও গরম যে একদিকে গায়ে ফোস্কা পড়ে যাচ্ছে এবং গা ঘামছে দর দর করে।

যেন এই মাত্র পুকুর থেকে উঠে এলেন গোসল করে। সেই গরমের মাত্রাকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে  বিদ্যুতের ঘণ ঘণ লোডশেডিং। এমন অবস্থায়  হটাৎ করেই আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৪টার পর থেকে আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। এরপর ঝড়ো বাতাসের সাথে বিকেল পাঁচটার দিকে নামে বড় বড় ফোটায় ঝুম বৃষ্টি। মাত্র এক ঘন্টা ১০ মিনিটে ২৯ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বগুড়ায়। এতে জনজীবনে স্বস্তি নেমে এলেও বগুড়ার বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে যায়।

গত কয়েক মাসের টানা তাপদাহের পর বৃষ্টিপাত হয়েছিল। এতে কিছুটা তাপমাত্রা কমলেও কয়েকদিন হলো আবারও দাবদাহ চলছিল বগুড়াসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে। তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল প্রায় ৩৮ এর কাছাকাছি। তাপদাহের সাথে সাথে বাতাসে আদ্রতা বেশির কারণে গা ঘেমে শ্যাতশ্যাতে শরীর আরও অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয় মানুষের। এমন আবহাওয়ায় মানুষ স্বস্তি পেতে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলের পর হঠাৎ করেই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। ঝড়ো বাতাস বইতে থাকে। এরপর ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। ১ ঘন্টা ১০ মিনিট ধরে চলা বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার। সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর বৃষ্টির পর সন্ধ্যা ৬ টায় তাপমাত্রা নেমে আসে ২৫ ডিগ্রীতে।

ফলে কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে পর গরম থেকে মুক্তি পায় মানুষ। এই আবহাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে ছিলেন রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা খেটেখাওয়া মানুষ। আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টির পর তাপমাত্রা সহনীয় হওয়ায় স্বস্তি নেমে আসে তাদের মাঝে।

রিকশাচালক আলী বলেন, ‘কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমে বেশিক্ষণ রিকশাচালাতে পারিনি। আর প্রচণ্ড গরমে শহরে মানুষও কম বের হতো। যে কারণে রিকশায় যাত্রী সংখ্যা অনেক কম ছিল। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে  মানুষ শহরের বেশি আসে ফলে আয়ও বেশি হয়।

বগুড়া আবহাওয়া অফিসের সূত্র জানান, আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল বিকেল ৪টা ৪০ থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ২৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই সময় বাতাসের  গতিবেগ ছিল ১০ নটিকেল মাইল। আগামী রোববার এবং সোমবার বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তবে তাপমাত্রা আগামীকাল আবারও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সূত্রটি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS