ভিডিও

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দুই বছরেও শেষ হয়নি বীরনিবাসের কাজ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৫:৫৬ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৫:৫৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দুই বছরেও শেষ হয়নি ৫টি বীর নিবাসের কাজ। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীরনিবাসের ৫টির ৭০-৮০ শতাংশ কাজ করে বাকি কাজ ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীরনিবাস নির্মাণের কাজ করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২সালের ১৩ আগস্ট উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় ৩৫টি বীরনিবাস নির্মাণের বরাদ্দ দেয় মন্ত্রণালয়। উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস বীরনিবাসগুলো নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছেন।

এক তলাবিশিষ্ট ৭৩২ বর্গফুট আয়তনের বীরনিবাসের এই বাড়িতে দুটি শয়ন কক্ষ, একটি বসার কক্ষ (ড্রয়িং রুম), একটি খাওয়ার কক্ষ (ডাইনিং), একটি রান্নাঘর, একটি প্রশস্থ বারান্দা ও দুটি শৌচাগার রয়েছে। প্রতিটি বাড়ি ১৪ লাখ ৮ হাজার ২৬৬ টাকা হিসাবে ৩৫টি বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৪ কোটি ৯২ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ টাকা।

উপজেলায় বরাদ্দকৃত দ্বিতীয় দফার ৩৫টি বীরনিবাসের মধ্যে ৩০টির কাজ শেষ হলেও বাকি ৫টি ঘরের কাজ ২বছরেও শেষ না হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার ৭০-৮০ শতাংশ কাজ করেই ফেলে রেখেছেন সব। কাজ ৫টি করেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আজাদ জামান।

সরেজমিন দেখা যায়, নির্মাণাধীন বীরনিবাস ৫টির দরজা-জানালা লাগানো হয়নি। দেওয়া হয়নি ইলেকট্রিক সংযোগ, দেয়াল রং করাসহ ছোট ছোট কাজ বাকি রয়েছে। বীর নিবাসের ঘর পেয়ে যেন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রাণীগঞ্জ এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক।

বিছানায় শয্যাশয়ী এ মুক্তিযোদ্ধা জীবনের শেষ নিঃশ্বাস এ ঘরে ফেলতে পারবেন কিনা শঙ্কায় রয়েছেন। তার মতো বীরনিবাসের ঘর নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বালাবাড়ী হাট কিসামত বানু এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী, রাণীগঞ্জ বাজার এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজুল হক সর্দার, মদনমোহন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ও ভাটিয়াপাড়ার শহিদ বীরমুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সাহের বানু বেগম।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী বলেন, ঘরের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কোন কাজ হয়নি। উপয়ান্ত না পেয়ে অসমাপ্ত ঘরের দরজা ও জানালায় টিনের বেড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমেদ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

কাজটি যথাসময়ে শেষ না করে মুক্তিযোদ্ধাদেরও হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নুরুজ্জামান আজাদ জামানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে ওই ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি কাজ শেষ করার জন্য কয়েকদিন সময় চেয়েছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS