ভিডিও

বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত স্কুলছাত্র রাতুলের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৮:৩২ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ১০:০০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা পালিয়ে রক্ষা পেলেও দেশের শত শত ছাত্র জনতা পুলিশের গুলিতে জীবন দিয়েছেন। এমনই একজন বালক জুনাইদ ইসলাম রাতুল। পুলিশের গুলিতে পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র রাতুল গত রোববার রাতে মারা যাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বগুড়ায় তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত স্কুল ছাত্র জুনায়েদ ইসলাম রাতুলের মরদেহ বগুড়ায় আনার পর আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে সকাল ১০টার দিকে শহরের নামাজগড় আঞ্জুমান ই গোরস্থানে দাফন করা হয়।

জানাজা নামাজের আগে রাতুলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন  বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ মোশারফ হোসেন, শহর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল, পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ মো. মেহেদী হাসান হিমু, পরিবারের পক্ষ থেকে আমির হামজা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিভাগীয় ছাত্র মৈত্রী সফর প্রতিনিধি দল সদস্য ফয়সাল আহমেদ, ইমাম হোসাইন ইমন। এ ছাড়াও বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে ভারতে যায় শেখ হাসিনা। এমন খবরে সারাদেশের মতো বগুড়াতেও বের হয় আনন্দ মিছিল। সেই মিছিলে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত স্কুলছাত্র জুনাইদ ইসলাম রাতুল (১৪) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার রাতে মারা যায়। সে বগুড়া শহরের সুলতাগঞ্জপাড়া ঘোনপাড়া এলাকার মুদি দোকানী জিয়াউর রহমান জিয়ার ছেলে।

৫ আগস্ট বিকেলে পাড়ার ছেলেদের সাথে আনন্দ মিছিলে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বের হয় রাতুল। বিকেল ৪ টার পর মিছিলটি শহরের ঝাউতলা পার হয়ে থানার সামনে এলে পুলিশ এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। রাতুলের মাথায় চারটি ছররা গুলি লাগে। এর মধ্যে একটি গুলি তার বাম চোখের মধ্যে দিয়ে মাথায় ঢুকে যায়।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে দু’দিন চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দেড় মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত রোববার দিবাগত রাতে সে মারা যায়।

রাতুলের বাবা জিয়াউর রহমান জিয়া দৈনিক করতোয়া‘কে বলেন, ভর্তির পর রাতুলের মাথায় অস্ত্রোপচার করে মগজ থেকে একটিসহ তার শরীর থেকে ৩৬টি গুলি অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। গত কয়েকদিন তার ছেলের অবস্থা ভালো ছিল। কথা বলেছে, খাওয়া-দাওয়া করেছে। কিন্তু গত রোববার হঠাৎ-ই তার অবস্থার অবনতি হয়ে সে মারা যায়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS