ভিডিও

যশোরে প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাংকে মিলল নিখোঁজ গৃহবধূর মরদেহ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৬:০২ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৬:০২ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

যশোরে অভয়নগরে নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সবিতা রাণী দে (৪৮) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের দেবপাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রি নিয়ামুল ইসলামের শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। গত সোমবার সকালে গরুর খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সবিতা উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের দেবপাড়া এলাকার মিলন কুমার দের স্ত্রী। মিলন পেশায় একজন চা বিক্রেতা। ভাটপাড়া বাজারে তাঁর দোকান রয়েছে। 

মিলন কুমার দে বলেন, ‘সোমবার সকালে যখন দোকানে যাই তখন সবিতা গরুর খাবার সংগ্রহ করতে বাড়ির পাশের একটি বাঁশবাগানের দিকে চলে যায়। দুপুরে ফোন করলে সবিতার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। দ্রুত বাড়ি ফিরে দেখি ঘরের দরজা তালাবদ্ধ। এ সময় প্রতিবেশী ও স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। রাত অবধি সবিতার কোনো সন্ধান না পেয়ে স্থানীয় ভাটপাড়া পুলিশ ক্যাম্পে বিষয়টি জানাই। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে অভয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। এদিন রাত ৭টার দিকে জানতে পারি সবিতার মরদেহ রাজমিস্ত্রি নিয়ামুলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

সবিতার দুই মেয়ে শুক্লা দে ও বৈশাখী দে বলেন, ‘আমার মাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে গুম করার উদ্দেশ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এই কাজের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি।’ 

প্রতিবেশী পরিমল রায় জানান, খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাজমিস্ত্রি নিয়ামুল ইসলামের সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনার এক পাশ উঁচু দেখে সন্দেহ হয়। এ সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই ট্যাংকের ঢাকনা খোলা হলে ভেতরে সবিতার মরদেহ দেখা যায়। খবর পেয়ে অভয়নগর থানার পুলিশ সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। 

অভয়নগর থানার ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ভাটাপাড়া গ্রামে রাজমিস্ত্রি নিয়ামুলের বাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে সবিতা রাণী দে নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS