ভিডিও

ছেলেকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৮:৫৬ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৮:৫৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রাজধানীর তুরাগ থানার দিয়াবাড়ি এলাকার একটি কাশবন থেকে শিশু আব্দুর রহমান মুছার (১১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত চার দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ছেলেকে হত্যার অভিযোগে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার দত্তপাড়া ডুয়াটি গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে মুছা। সে টঙ্গীর গোপালপুর এলাকায় মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকত। ওই এলাকার হলি ক্রিসেন্ট হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মুছা। 

পরিবারের বারত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রায় ষোল বছর আগে পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয় মহিউদ্দিন ও শরিফুন নেছার। পরে তাদের একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। পারিবারিক টানাপোড়েন মহিউদ্দিন প্রবাসে পাড়ি জমান। প্রায় নয় বছরের পর মহিউদ্দিন দেশে ফিরে প্রথম বিয়ে ও সন্তানের তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে করেন ফরিদপুর জেলার ভাঙা থানার বাউনকান্দা গ্রামের সুমনা আক্তারকে। কয়েক মাসপর দ্বিতীয় স্ত্রী সুমনা মহিউদ্দিনের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের তথ্য জেনে যায়। এতে কলহে জড়ান তাঁরা। 

 ১ সেপ্টেম্বর প্রথম স্ত্রী শরিফুন নেছা ও ছেলে মুছাকে নিয়ে ফের টঙ্গীর গোপালপুর এলাকায় বসবাস শুরু করেন মহিউদ্দিন। এর মধ্যে গত শনিবার বিকেলে ছেলে মুছাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যান বাবা মহিউদ্দিন। কিছুক্ষণ পর রাজধানীর তুরাগ এলাকার একটি কাশবনে নিয়ে যায় শিশুটিকে। পরে সেখানে তাকে গলাটিপে হত্যা করে কাশবনের ভেতরে লাশটি ফেলে বাসায় চলে আসেন তিনি। বাসায় ফিরে মুছা হারিয়ে গেছে বলে সবাইকে জানিয়ে দেয়। এর একপর্যায়ে মহিউদ্দিন ওই বাসা ছেলে চলে আসেন। 

ছেলের সন্ধান চেয়ে গত শনিবার টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মুছার মা। এরপর থেকেই পুলিশ শিশুটির সন্ধানে নামে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাবা মহিউদ্দিনকে ফরিদপুর থেকে আটক করে। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছেলেকে গলাটিপে হত্যার পর কাশবনে ফেলে দেওয়ার তথ্য জানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর আজ মহিউদ্দিনের দেওয়া তথ্যে রাজধানী তুরাগের একটি কাশবন থেকে মুছার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। 

মুছার মা শরিফুন নেছা বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে আমরা কলহ চলছিল। আমার স্বামী সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আমি আমার ছেলেকে নিয়ে টঙ্গীতে বাস করছিলাম। সেই সঙ্গে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। গত শনিবার ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে যান তিনি। ফিরে এসে মুছা হারিয়ে গেছে বলে জানান। পরে ছেলের সন্ধান না করে রাতেই ফরিদপুর চলে যান। পরে থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ আমার স্বামীকে ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। আজ বুধবার থানায় মামলা করেছি।’ 

টঙ্গী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মামুনুর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহিউদ্দিনকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS