ভিডিও

রাজবাড়ীতে আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে আহত ৭,আটক ৩

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ১০:৪৮ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ১০:৪৮ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক:  আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদা চাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১২জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭ জেকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩ জন।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার জাহিদুল ভূঁইয়া, বিটু মোল্লা, মশিউল আজম চুন্নু, রুবেল মোল্লা, লিটন শেখ,ওসমান শেখ ও আরিফ শিকদার । আহতদের বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সংবাদ পেয়ে ক্যাপ্টেন মো. এনামুল হাসানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ও বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষে জড়িত থাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে খোন্দকার মশিউল আলম চুন্নুসহ তিন বিএনপির কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত তিনজন থানা হেফাজতে রয়েছে।  

যৌথ বাহিনী সূত্র জানায়, মশিউল আলম চুন্নু সংঘর্ষে আহত হয়ে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে গেলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি হতে বলে। কিন্তু সে গ্রেপ্তার এড়াতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে নিজ বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করে। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার  করে।  

এ সময় সে নিজেকে ভিন্ন নামে পরিচয় দেয়। কিন্তু যৌথ বাহিনী তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।  

যৌথ বাহিনী আরও জানায়, সংঘর্ষের ঘটনার পর এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যৌথ বাহিনী টহল ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে।

জানা গেছে, রাজবাড়ী-২ আসনের বিএনপির সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুল হক সাবু ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন গ্রুপের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। সেই দ্বন্দ্বে হারুন গ্রুপের বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম শওকত সিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ারদের সঙ্গে সাবু গ্রুপের বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউল আজম চুন্নু গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এরই জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ভূঁইয়া বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বালিয়াকান্দি চৌরাস্তার মোড়ে আমি দোকান থেকে শ্যাম্পু ক্রয় করে মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় মশিউল আজম চুন্নুর ছেলেসহ ৭/৮ টি মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন যুবক আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে থাকা আকমল আমাকে মারধর শুরু করে। এরপর আমাদের সভাপতি গোলাম শওকত সিরাজের বাড়িতে গিয়ে আগুন দেয়। আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। এরপর তারা আবার সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। রাত ৯টা পর্যন্ত দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।

এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে মশিউল আযম চুন্নুর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারুক হোসেন বলেন, প্রথম পর্যায়ে আহত অবস্থায় ৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS