নিউজ ডেস্ক: ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকায় একটি বাড়ির তিন পরিবারের ৭ জন নারী সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা লুট করেছে ডাকাতদল।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে ভয়াবহ এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মারধরের শিকার মুন্নী আক্তার বলেন, আমার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক, তার দুই ভাই আব্দুস সামাদ ও মো. জহির একতলা বাড়িতে একসঙ্গে বসবাস করি। আমার স্বামী ও তার বড় ভাই সামাদ প্রবাসে থাকেন। মেজ ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট। তিনি বাড়িতেই থাকেন। কিন্তু গতকাল তিনি তাবলিগের কাজে ঢাকায় কাকরাইল মসজিদে যান। যাওয়ার সময় তার বড় বোনকে আমাদের বাড়িতে রেখে যান। পরে রাত ২টার দিকে ১০-১৫ জনের একদল ডাকাত বাড়ির পেছনের গাছ বেয়ে ছাদে উঠে এবং সিঁড়িঘরের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা শাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে আমার হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। অস্ত্রধারী ডাকাতরা একই সময় অন্যান্য ঘরে ঢুকে বাড়ির আরও ৬ নারী সদস্যেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে আমার মেয়ের কপালে অস্ত্র ঠেকিয়ে সবগুলো ঘরে প্রবেশ করে আলমারি ও ওয়ারড্রব ভেঙে আমাদের তিন পরিবারের প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণ ও আড়াই লাখ টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. জহির বলেন, আমি গতকাল আমার বোনকে রেখে ঢাকায় আসি। ভোর বেলা ফজরের নামাজের সময় বাড়ির পাশের মাদরাসার শিক্ষক আমাকে ডাকাতির কথা জানায়। এরপরেই আমি ৯৯৯ এ ফোন করলে তারা জরুরি ছাড়া পুলিশ পাঠাতে পারবে না বলে জানিয়ে আশুলিয়া থানার নম্বর দেয়। পরে আশুলিয়া থানায় যোগাযোগ করলে তারাও ঘটনাস্থলে যেতে অস্বীকৃতি জানায়।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, কাঠগড়া এলাকায় ডাকাতির খবর শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।