বিদেশে কাজ নিয়ে প্রতারণা
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বিদেশে নিয়ে গিয়ে কাঙ্খিত কাজ দিতে না পারায় দেশে ফিরে শিহাব (৩০) নামে এক আদম ব্যবসায়ীকে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি বগুড়ার ধুনট উপজেলার।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে নিহত শিহাবের মা শিরিনা খাতুন বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত শিহাব উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের নবিনগর বাজেয়াপ্তি এলাঙ্গী গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শিহাব জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন ধরে দুবাইয়ে অবস্থান করেন। একই এলাকার শৈলমারী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে শিপন ওরফে রিপন (২৬) সাড়ে ৩ লাখ টাকায় চুক্তিতে শিহাবের মাধ্যমে দুবাই যান। শিপন দুবাইয়ে গিয়ে কাঙ্খিত কাজ না পেয়ে ৮ মাস পর দেশে ফিরে আসেন।
দুবাইয়ে ভালো কাজ দিতে না পারায় শিহাবের ওপর ক্ষুব্ধ হয় শিপন ও তার পরিবারের লোকজন। এ অবস্থায় ১২ মে শিহাব দুবাই থেকে ছুটি নিয়ে নবিনগর বাজেয়াপ্তি এলাঙ্গী গ্রামে নিজ বাড়িতে আসেন। তখন শিহাবের কাছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ফেরত চান শিপন ও তার পরিবারের লোকজন।
কিন্তু শিহাব টাকা ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ১৪ আগস্ট সকাল ১১টায় শিহাব বাড়ি থেকে ধুনট শহরে যাবার পথে মাঠপাড়া এলাকায় পৌঁছলে শিপন ও তার লোকজন শিহাবকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যান।
শিপন শৈলমারী গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শিহাবের কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ হাতিয়ে নেন। এসময় শিপন ও তার লোকজন শিহাবকে জোরপূর্বক বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন অবস্থায় নবিনগর বাজেয়াপ্তি এলাঙ্গী গ্রামে নদীর তীরে ফেলে রেখে যান।
শিহাবকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট মধ্যরাতে শিহাব মারা যান।
এ ঘটনায় ৮ অক্টোবর নিহত শিহাবের মা শিরিনা খাতুন বাদি হয়ে বগুড়া আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় শিপন ও তার ভাই সবুজ আলীসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ধুনট থানায় রেকর্ডভুক্ত করার জন্য ওসিকে আদেশ দেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, আদালতের আদেশে মামলার আরজিটি থানায় রেকর্ডভুক্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।