ভিডিও

সারিয়াকান্দি যমুনাচরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পেঁয়াজের আবাদ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৪, ০৯:৩২ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৪, ০৯:৩২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : সারিয়াকান্দির যমুনাচরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পিঁয়াজের আবাদ হয়েছে। গত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ করেছে কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কয়েক বছর ধরে পেঁয়াজের সঙ্কট এবং দাম বেশি হওয়ায় যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। অন্যান্য বছরের মতো গম চাষ না করে এবার অধিকাংশ কৃষক পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। বাজারে পেঁয়াজের সংকটের কারণে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

উর্বর পলিমাটিযুক্ত জমিতে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশায় স্বপ্ন বুনছেন চরাঞ্চলের কৃষক। যমুনার বিস্তীর্ন চর এলাকায় চোখের দৃষ্টি সীমানায় শুধু দেখা মেলে পেঁয়াজের আবাদ। উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের ঘাগুয়ার চরে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, এ চরের মাদারগঞ্জ নৌঘাটের উত্তর পার্শ্বে বিশাল এলাকাজুড়ে কৃষকরা পিঁয়াজের বীজ বপন করেছেন।

গত কয়েকদিন আগে বপন করা এসব পিঁয়াজের বীজ গজিয়ে চারাগাছ  বেশ বড় হয়েছে।  পেঁয়াজের  ক্ষেতে নিরানী দেওয়ার সময় কথা হয় কৃষক দলু মোল্লার সাথে। তিনি জানান, শুধুমাত্র এ চরঘাগুয়া চরেই ১৫০০ বিঘার বেশি জমিতে পিঁয়াজের আবাদ হয়েছে। তিনিও ৩০ বিঘা জমিতে পৌষ মাসের শেষের দিকে  পেঁয়াজের বীজ ছিটিয়ে বপন করেছেন।

তিনি আশা করছেন আগামী চৈত্র মাসের মধ্যেই জমি থেকে পিঁয়াজ উত্তোলন করতে পারবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিঘাপ্রতি তিনি ৪০  থেকে ৫০ মণ পিঁয়াজ আশা করেন। গত বছরও তিনি ছিটিয়ে বপন করা পিঁয়াজের ভালো ফলন  পেয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ উপজেলায় গত বছর ১৬০০ হেক্টর জমিতে ১৯ হাজার ২০০ টন পিঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছিলো। এ বছর পিঁয়াজ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬০০ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে ১৬১০ হেক্টর জমিতে উৎপন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এ বছরও ভালো ফলন হবে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, সারিয়াকান্দির যমুনা চরের পলিমাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাই গত বছরগুলোর ন্যায় এ বছরও কৃষকরা বিপুল পরিমান এলাকার জমিতে  পেঁয়াজ চাষ করেছেন।

এ বিষয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বেশ কিছু প্রদর্শনী প্লটও করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা বাম্পার ফলন পাবেন এবং বাজারে ভালো দাম পেলে কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS