ভিডিও

স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা-মুখ বেঁধে শিশুকে হত্যা, পুলিশের সন্দেহে মা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪, ০৭:২৯ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪, ০৭:২৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ফেনী প্রতিনিধি: স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেনীর পরশুরামে শিশু উম্মে সালমা লামিয়াকে (৭) হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দোষী শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের ধারণা শিশুটিকে হত্যার পেছনে তার মায়ের হাত থাকতে পারে। বুধবার সকালে ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। থানা হেফাজতে থাকা লামিয়ার মা আয়েশা, সৎ মা রেহানা ও একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী লামিয়ার বড় বোন নিহার সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন খান বলেন, নুর নবীর সাবেক স্ত্রী আয়েশার পরিকল্পনায় এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঘটনার চার দিন আগে আয়েশা পরশুরামে আসেন। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা যাবে। ওসি বলেন, নিহত লামিয়ার বড় বোন নিহার কথা অনুযায়ী সে হত্যাকারীদের দেখলে চিনবে। সে জানায় দুজনই মাথায় হেলমেট পরা থাকলেও বাসায় ঢুকে হেলমেট খুলে ফেলেন। তাদের মধ্যে একজনের গায়ের রং কালো, সামান্য মোটা। আগেও তাদের দুজনকে পরশুরাম স্টেশন রোডে দেখেছে সে। দুজনের সঙ্গেই তার মায়ের পরিচয় ছিল।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে লামিয়ার বাবা মো. নুর নবী বাদী হয়ে পরশুরাম থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পুলিশ লামিয়ার মা আয়েশা ও সৎ মা রেহানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বুধবার দুপুরে ফেনী সদর হাসপাতালে লামিয়ার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হেলমেট পরা দুই যুবক বাসায় গিয়ে শিশু লামিয়াকে হাত-মুখ-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ সময় তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা কৌশলে পালিয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা আটকে দেয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS