ভিডিও

মান্দায় আমানত ফেরতের দাবিতে মাল্টিপারপাসের ছয় কর্মী অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৬:০১ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৬:০১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় আমানতের টাকা ফেরতের দাবিতে আল-আমিন মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি. নামের বেসরকারি একটি সংস্থার ছয় কর্মীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন গ্রাহকেরা।

অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে ৩০ ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত ৫৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সংস্থার লোকজন। গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ছয় কর্মীকে দুইদিন ধরে সংস্থার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

অবরুদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন, শাখা ব্যবস্থাপক ফারুক রেজা, নজিপুর শাখা ব্যবস্থাপক রাজু আহমেদ ও নূর আলম, মাঠ ব্যবস্থাপক শাহজামাল ও মাঠকর্মী রিপন।

জানা যায়, ২০১৯ সালের দিকে আল-আমিন মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের বেসরকারি একটি সংস্থা মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর বাজারে শাখা কার্যালয় খুলে বসে। এরপর চড়া সুদে দৈনিক কিস্তিতে ব্যবসায়ীদের ও সাপ্তাহিক কিস্তিতে গ্রামের নারীদের গ্রুপ পর্যায়ে ঋণ বিতরণ শুরু করে সংস্থাটি।

একই সাথে এফডিআরের মাধ্যমে অধিক মুনাফার প্রলোভন দিয়ে গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করে সংস্থার কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা। এ ফাঁদে পা দিয়ে ৩০ ব্যক্তি সেখানে ৫৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। কিছুদিন মুনাফার টাকা সঠিকভাবে দেওয়া হলেও কয়েক মাস ধরে টালবাহানা করা হচ্ছে। সংস্থার প্রধান কার্যালয় নওগাঁর পত্মীতলা উপজেলার নজিপুর নতুনহাট এলাকায়।

সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন বলেন, সঠিক সময়ে আমানতকারীদের মুনাফা দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু সমস্যার কারণে কয়েক মাস ধরে তাদের মুনাফা দেওয়া হয়নি। খুব শিগগিরই এ জটিলতার সমাধান হবে।

এফডিআরের মাধ্যমে এভাবে টাকা নেওয়ার বিধান আছে কি না জানতে চাইলে এরিয়া ম্যানেজার বলেন, এফডিআরের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া কোনো বিধান নেই। আমানতকারী নয়ন কুমার কুণ্ডু বলেন, আল-আমিন মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির লোকজন ১ লাখ টাকায় প্রত্যেক মাসে ২ হাজার টাকা মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেয়।

তাদের প্রলোভনে পা দিয়ে আমি ৯ লাখ টাকা সেখানে জমা দিয়েছি। এরপর কয়েক মাস আমাকে সঠিক সময়ে মুনাফার টাকা দেওয়া হয়েছে। গত চার মাস থেকে আর কোনো মুনাফা দেওয়া হচ্ছে না। আব্দুল কাদের বলেন, বেশকিছু দিন ধরে আমানতের টাকার মুনাফা না দিয়ে বিভিন্ন সময় অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে সংস্থার লোকজন।

তারা গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হতে পারে এমন সন্দেহে সংস্থার লোকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
 এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। গ্রাহকেরা অভিযোগ করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS