ভিডিও

পাঁচবিবির বেশিরভাগ ইটভাটায় নেই পরিবেশ ছাড়পত্র

প্রশাসনের অভিযানেও কাজ হচ্ছেনা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৯:১৪ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৯:১৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় বেশকিছু আবাসিক এলাকা ও ফসলি জমির পাশে গড়ে ওঠা ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় ফসল, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ছে। বেশিরভাগ ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকলেও চলছে ইট প্রস্তুত ও বিক্রি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দু’জন কৃষক বলেন, লোকালয় ঘেঁষে আবাদি জমির পাশে এভাবে ইটভাটার বিপক্ষে এলাকার কৃষকেরাও। কিন্তু ভাটার মালিক এলাকার খুব প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না। এভাবে ফসলি জমির মাঠের পাশে ভাটা হলে অন্য জমিতে কৃষি আবাদ হুমকির মুখে পড়বে। তখন ভাটার মালিককে এমনিতেই জমি ছেড়ে দিতে হবে।

জানা গেছে, নিয়মনীতি না মেনে গড়ে ওঠা কিছু ইটভাটার কারণে হুমকির মুখে যেমন পরিবেশ, অন্যদিকে ইটভাটায় সঠিক সাইজের ইট প্রস্তুত না করে ক্রেতা সাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করছেন কিছু অসাধু ইটভাটা মালিক। এ অবস্থায় গত শনিবার দিনব্যাপি পাঁঁচবিবি উপজেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের যৌথ অভিযান উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় সঠিক সাইজের ও বিএসটিআই’র মানসম্মত অনুযায়ী ইট আকারে ছোট করা ও সিএম লাইসেন্স রয়েছে বলে মিথ্যা তথ্যও প্রদান করার অপরাধে বিএসটিআই আইন-২০১৮ এর সংশি¬ষ্ট ধারায় পাঁচবিবির ভীমপুর এলাকায় অবস্থিত মেসার্স লিটন ব্রিকস নামের একটি ইটভাটায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন পাঁচবিবি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. মারুফ আফজাল রাজন।

এছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহণ ও সঠিক সাইজ অনুযায়ী ইট প্রস্তুত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। অভিযান পরিচালনাকালে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই বিভাগীয় অফিস রাজশাহীর ফিল্ড অফিসার (সিএম) দেলোয়ার হোসেন।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, যেহেতু ইটভাটার চিমনি অনেক উঁচুতে থাকে সেক্ষেত্রে কৃষিখাতে এর ক্ষতির প্রভাবের পরিমাণটা বলা কঠিন। তবে ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বায়ুমন্ডলে মিশিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করে।

জয়পুরহাট পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, পাঁচবিবিবি উপজেলায় প্রায় ১৩টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া ছাড়পত্র নেই। বেশিরভাগ ইটভাটা পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে।

পাঁচবিবি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফ আফজাল রাজন বলেন, ইটগুলোর বিএসটিআই’র অনুমোদন না থাকায় ওই ইটভাটা কর্তৃপক্ষকে প্রথম পর্যায়ে সতর্কতামূলক ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিএসটিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা ইটগুলো পরীক্ষার জন্য নিয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিএসটিআই’র অনুমোদন নিয়ে ইটের পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS