ভিডিও

সারিয়াকান্দি যমুনায় নাব্য সংকটে ভোগান্তি চরবাসীর

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ১১:২১ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ১১:২১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা নদীতে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে নাব্য সংকট। ডুবোচরে নৌকা আটকে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি নৌঘাট বন্ধ রয়েছে। যমুনার ডানতীর ঘেঁষে বিশালাকার চরাঞ্চলে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস নৌযান চলাচল না করায় ঘোড়ার গাড়িতে কৃষিপণ্য পরিবহনে গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

জানা গেছে নাব্য সংকটের কারণে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পারতিতপরল আলতাফ আলীর নৌঘাটে নৌযান চলাচল বন্ধ। হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাসনাপাড়া, হাটশেরপুর, নিজবলাইল এবং চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের আমতলী নৌঘাট নাব্য সংকটে বন্ধ হয়েছে।

এদিকে উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম সারিয়াকান্দি কালিতলা নৌঘাটেও নাব্য সংকট বিরাজমান। নাব্য সংকটে এ নৌরুটটি গত কয়েকদিন আগে ইজারাদারদের উদ্যোগে ড্রেজিং করে দেওয়া হয়েছে। যমুনায় নৌযান চলাচল করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন চরবাসী। ঘোড়ার গাড়িতে কৃষিপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পরিবহন করছেন চরবাসী। এতে একদিকে যেমন সময় অপচয় হচ্ছে, অপরদিকে বেশি ভাড়া দিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে।

বর্তমানে যেখানে যমুনা নদীর মূল স্রোতধারা বয়ে চলছে সেখান থেকে সারিয়াকান্দি হাটশেরপুর ইউনিয়নের বলাইল বন্যা নিয়ন্ত্রণ স্পারের আনুমানিক দূরত্ব ৯ কিলোমিটার ও হাসনাপাড়া স্পারের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। সদর ইউনিয়নের কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধ থেকে বর্তমান স্রোতধারার নদীর দূরত্ব প্রায় ৪ কিলোমিটার এবং দীঘলকান্দি হার্ডপয়েন্ট থেকে দূরত্ব ৬ কিলোমিটার।

কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের দেবডাঙা হার্ডপয়েন্ট থেকে দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। এ দূরত্ব পাড়ি দিয়ে কৃষকদের ঘোড়া বা গরুর গাড়ি দিয়ে ফসলাদি বাড়িতে নিয়ে আসতে বিশাল অঙ্কের পরিবহন ভাড়া গুণতে হচ্ছে। সারিয়াকান্দির বিভিন্ন ধরনের কৃষিফসলের ৭০ ভাগ যমুনার চরাঞ্চলগুলোতে উৎপাদিত হয়। নদীর নাব্য না থাকায় এসব ফসল ঘোড়ার গাড়ি বা গরুর গাড়িতে পরিবহণ করতে হচ্ছে বেশি ভাড়া দিয়ে।

ফলে কৃষিফসলের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজলা বাওইটোনা চরের আব্দুল হান্নান বলেন, আমাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটি আবারও জেগে উঠেছে। সেখানে আমরা নানা ধরনের ফসল ফলাচ্ছি। তবে ফসলগুলো বাড়িত নিয়ে আসতে অনেক টাকা ঘোড়ার গাড়ি ভাড়া দিতে হয়।

পারতিত পরল খেয়া ঘাটের মাঝি আলতাফ আলী বলেন, যমুনা নদীতে বিশালাকার চরে জেগে ওঠায় এবং নদীতে পানি না থাকায় গত কয়েকদিন ধরেই নৌঘাটটি বন্ধ রয়েছে। কালিতলা খেয়া ঘাটের নৌকার মাঝি আমিরুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীতে নৌকা চালানো এখন খুবই কষ্টকর। নৌকা মাঝে মাঝেই বালুচরে আটকে যায়। আটকা নৌকা বালুচর থেকে নামানো খুবই কষ্টকর। তাছাড়া নদীতে পানি না থাকায় অনেক পথ ঘুরে গন্তব্যে যেতে হয়।

সারিয়াকান্দি-সোনাতলা আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেন, প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে সারিয়াকান্দিতে বিভিন্ন হার্ডপয়েন্ট, স্পার এবং নদীতীর সংরক্ষণের কাজ করেছেন। ফলে এর সামনে পলিমাটি পরে বিশালাকার চরাভূমির সৃষ্টি হয়েছে এবং যমুনা নদী গতিপথ পরিবর্তন করেছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS