ভিডিও

কুড়িগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, আট বছর ধরে নেই চক্ষু চিকিৎসক

শূন্য রয়েছে নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৬:২৮ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৬:২৮ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

এম আর মিন্টু, কুড়িগ্রাম :  কুড়িগ্রাম একটি সীমান্তবর্র্তী জেলা। জেলাটি ১৬ টি নদ-নদী বেষ্টিত। রয়েছে প্রায় সাড়ে চারশতাধিক চর ও দ্বীপচর। দারিদ্র্য পীড়িত এ জেলায় ২৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতাল।

চিকিৎসক সংকটে পড়েছে সরকারি এ হাসপাতালটি। দীর্ঘ আট বছর ধরে নেই চক্ষু চিকিৎসক। চিকিৎসকের অভাবে সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা। চোখের চিকিৎসা নিতে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে। গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। ফলে চোখের চিকিৎসা নিয়ে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। চক্ষু চিকিৎসক সংকটের দ্রুত সমাধান চান কুড়িগ্রামের মানুষ।

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোঃ শাহীনুর রহমান সর্দার বলেন, জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে চক্ষু চিকিৎসক নেই। নেই নাক, কান, গলা/প্যাথলজি/চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চক্ষু চিকিৎসকের চাহিদা পাঠিয়েছি। আশা করছি দ্রুত এর সমাধান হবে।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কুড়িগ্রামে বছরের পর বছর ধরে চলছে চিকিৎসক সংকট। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় ২৪ লাখ মানুষ। বিশেষ করে চক্ষু চিকিৎসক, অর্থোপ্যাডিক্স ও মেডিসিন চিকিৎসকের গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে চক্ষু চিকিৎসক একজনও নেই।

অর্থোপ্যাডিক্স ও মেডিসিন চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র একজন করে। এছাড়া  নেই নাক, কান, গলা/প্যাথলজি/চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ। জেলার বৃহত্তম হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় ভোগান্তি পড়েছে জনসাধারণ। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে চিকিৎসকের চাহিদা প্রতি বছর পাঠানো হলেও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সংকট দূর হচ্ছে না।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS