ভিডিও

দুপচাঁচিয়া জিয়ানগর ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দ্বন্দ্বে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ১০:৪৮ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ১০:৪৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া উপজেলার ১নং জিয়ানগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সাথে সদস্যদের দ্বন্দ্বের কারণে উন্নয়নমুলক প্রকল্পের কাজগুলো বন্ধ রয়েছে। চলতি অর্থ বছরে জিয়ানগর ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-কাবিটা) এবং গ্রামীণ রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচি ছাড়াও উন্নয়ন সহায়ক প্রকল্প, উপজেলার রাজস্ব থেকে আয়ের শতকরা ১ ভাগ অর্থের প্রকল্পসহ কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি।

জানা গেছে, জিয়ানগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে একক সিদ্ধান্তে পরিষদ পরিচালনাসহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থ আত্মসাত ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ এনে ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হতে পরিষদের ৯জন সদস্য চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা এনে পরিষদের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছে।

ইউপি সদস্য মকছেদুল ইসলাম, হযরত আলী, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুস ছালামসহ অনেকেই জানান, তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো একাধিক বার তদন্তও হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন জানা না গেলেও একটি তদন্তে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তাদের আনিত অভিযোগগুলোর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ইউনিয়ন ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স আদায়ের জন্য কতগুলো বই ছাপানো হয়েছে তার কোন তথ্য বা রেজিস্টার উপস্থাপন করতে পারে নাই।

৪০ দিনের কর্মসূচির পাঁচজন উপকারভোগীদের নিকট হতে ঘুষ গ্রহণ এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশ তাকে প্রদান করেন।

স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪) ধারায় কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা ১০ কর্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের নির্দেশও দেন।

তারা আরো জানান, অজ্ঞাত কারনে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির, অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে মানববন্ধন, বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে আসছেন, সেই সাথে পরিষদের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগসমূহ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টাও করেছেন, কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি বলেও তিনি জানান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা এইচএম আশরাফুল আরেফিন বলেন, জিয়ানগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দ্বন্দ্বের কারণে কাবিখা-কাবিটা ও টিআর প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজগুলো করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামি ৩০ জুনের মধ্যে তাদের দ্বন্দ্বের অবসান না হলে ইউনিয়নের প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ সরকারি কোষাগারে ফেরত যাবে বলেও তিনি জানান।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS