ভিডিও

শহিদ ড. জোহা দিবস আজ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ১০:৫৭ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৫:৩৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রাজশাহী  প্রতিনিধি : আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শহিদ ড. জোহা দিবস। ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে এই দিনে পাকসেনাদের গুলিতে শহিদ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের রিডার ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা। তিনিই এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রথম শহিদ বুদ্ধিজীবী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দিনটি মহান শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়।

১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের মতো বিক্ষোভে উত্তাল ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও। ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মেইন গেট দিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে আসতে চাইলে বিক্ষোভে বাধা দেয় পাকিস্তানি সেনারা। তারা ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর প্রস্তুতি নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সময়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা ছাত্রদের বাঁচাতে ছুটে যান।

তিনি ছাত্রদের গেট থেকে সরিয়ে নিতে নিতে সেনাদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন, ‘আমার ছাত্রদের বুকে গুলি চালানোর আগে আমার বুকে গুলি করতে হবে।’ ছাত্রদের ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে ড. জোহাও প্রধান গেটের কাছে আসছিলেন।

এসময় পাক সেনারা তার বুকে গুলি চালায়। গুলিতে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন এই মহান শিক্ষক। পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবারো বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

শহিদ ড. শামসুজ্জোহার আত্মত্যাগের ৩৯ বছর পর ২০০৮ সালে রাষ্ট্র তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে এবং তার নামে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। তবে এর বেশি সম্মান আর দেয়া হয়নি শহিদ ড. জোহাকে।

ড. জোহার শাহাদতের পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই দিবসটিকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। প্রতি বছর এই দিনে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দিবসটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য দাবি জানালেও, দীর্ঘ ৫৫ বছরেও মেলেনি সেই স্বীকৃতি।

এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি যথাযথ জায়গায় বিষয়টি উপস্থাপনে নিজেদেরও ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS