ভিডিও

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা

দ্বিতীয় দিনেও বগুড়ায় কেন্দ্র সচিবসহ ১২ শিক্ষক ও ৬ শিক্ষার্থী বহিস্কার

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৮:২১ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৮:২১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনেও বগুড়ায় ৬ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য কেন্দ্র সচিবসহ ১২ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বহিস্কৃতদের মধ্যে ৫ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং ১ জন কারিগরি বিভাগের শিক্ষার্থী। এছাড়া ২৮৫ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।

বগুড়া জেলা প্রশাসনের শিক্ষা কল্যাণ শাখা থেকে জানা গেছে, অসুদপায় অবলম্বনের অভিযোগে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ৫ পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়। এছাড়া সোনাতলা কারিগরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এক শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে।

অপরদিকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য গুজিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবসহ ১০জন কেন্দ্র পরিদর্শককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

শিবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, এসএসসি পরীক্ষার ২য় দিনে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার সময় ৫ জন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা হলে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সময় কক্ষের দায়িত্বে থাকা ১২ জন শিক্ষককে অব্যহদি দেওয়া হয়।

অব্যাহতি প্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন গুজিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব তোজাম্মেল হক, কক্ষ পরিদর্শকরা হলেন উপজেলার অভিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পলাশ চন্দ্র রায়, ভরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়শা সিতারা, আব্দুল হাকিম, চন্ডিহারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কামরুল, হাবিবা, দেউলী জহুরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, অঞ্জলী রানী রায়, গাংনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের উজ্জ্বল কুমার, আব্দুস সামাদ ও মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মফিজুল ইসলাম।

অসাদুপায় অবলম্বণ ও স্মার্ট ফোন ব্যবহারের দায়ে ধাওয়াগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩জন, গুজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ও মহাব্বত নন্দীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। অপরদিকে সোনাতলা কারিগরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে অপরের খাতা দেখে লেখার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে।

এব্যপারে শিবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুব মোর্শেদ জানান, পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীরা  স্মার্টফোন দ্বারা প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে উত্তরপত্রের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে বাইরে পাঠিয়ে দেয়। প্রশ্নপত্র পেয়ে বাইরে থেকে উত্তরপত্র পরীক্ষার হলে সরবরাহ করা হয়।

কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার বিষয়টি টের পেয়ে ৫টি কক্ষ হতে পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৫টি স্মার্ট ফোন পাওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয় এবং দায়িত্ব অবহেলার কারণে কেন্দ্র সচিবসহ ১২ জন কক্ষ পরদির্শককেও পরীক্ষার চলতি দায়িত্ব থেকে অব্যহতি  প্রদান করা হয়।

এবারে জেলার ৪১টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় ৩২ হাজার ৩১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দিন উপস্থিত ছিল ৩২ হাজার ১৫৪ জন। অনুপস্থিত ছিল ১৫৭ জন। ১৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় ৬ হাজার ৪৬৫জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৬ হাজার ৩৭৯ জন। দাখিলে অনুপস্থিত ছিল ৮৬ জন শিক্ষার্থী।

এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষা ২০টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় ২ হাজার ৪৮৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ২ হাজার ৪৪৪ জন। অনুপস্থিত ছিল ৪২ জন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS