ভিডিও

খৎনার সময় শিশুর পুরুষাঙ্গ কাটার অভিযোগ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, ০৭:২৪ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, ০৭:২৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে খৎনা করার সময় এক শিশুর পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি শিশুটির পরিবারের। বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে এখন ওই হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী শিশু আল নাহিয়ান তানভীর (৮) উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আলমগীরের ছেলে।

শিশুটির পরিবারের লোকজন জানায়, বেলা ১১টার দিকে শিশু তানভীরকে খৎনা করাতে তার পরিবারের লোকজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তখন সেখানে মেডিকেল অফিসার উপস্থিত ছিলেন না। উপসহকারী মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে এবং চিকিৎসা সহকারী সৌরভ ভৌমিক ভুল করে শিশুটির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে ফেলেন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটির স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম ও উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আবু নাছেরসহ জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা অন্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

শিশু তানভীরের বাবা মো. আলমগীর বলেন, আমরা শিশুকে খৎনা করাতে নিলে চিকিৎসক আসছেন বলে বিজয় ও সৌরভ নিজেরাই খৎনা করান। এতে আমার ছেলের পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে যায়। অতিরিক্ত রক্তপাতে আমরা ভয় পেয়ে যাই। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। বর্তমানে চিকিৎসকরা শঙ্কামুক্ত বললেও আমরা শিশুটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। আমি জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

শিশুটির চাচা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ ফরিদ ফরহাদ বলেন, জরুরি বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ফোন দিলে দায়িত্বে থাকা ডা. মো. সাহাদাত হোসেন সাগর ফোন রিসিভ করলেও কিছুই জানেন না বলে জানান। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। এদিকে উপসহকারী মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে এবং চিকিৎসা সহকারী সৌরভ ভৌমিকের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম বলেন, ঘটনার আকষ্মিকতায় আমরাও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। শিশুটি বৃহস্পতিবার জুস খেয়েছে। এখন ভালো আছে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় নোয়াখালীর সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মাহামুদ চৌধুরী বলেন, আমরা ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জেনেছি। গুরুতর কোনো ঘটনা ঘটেনি। শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। তবে দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS