দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধাপসুখানগাড়ী এলাকায় তালাক দেওয়া স্ত্রী হাবিবা আক্তারকে (২৭) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে সাইফুল ইসলাম (৩২)। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের ধাপসুখানগাড়ী এলাকার বাবলু মিয়ার মেয়ে হাবিবা আক্তারের (২৭) সাথে একই এলাকার মৃত মোজামের ছেলে সাইফুল ইসলামের (৩২) বিয়ে হয়। বিয়ের পর সাইফুল ইসলাম মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে।

মাদক মামলায় সাইফুল ইসলাম কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলও খেটেছে। সাইফুল ইসলামকে মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসা থেকে সরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে হাবিবা আক্তার স্বেচ্ছায় তাকে তালাক দেয়। এদিকে হাবিবা তার বাবার বাসায় বসবাস করে দর্জির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার রাতে হাবিবা আক্তার নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়।

রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায় হাবিবা তার মোবাইল ফোন থেকে বাবাকে কল দিয়ে চিৎকার করে উঠে। এরপরেই তার বাবা বাবলু মিয়া মেয়ের মোবাইলে কল করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পায়। হাবিবার বাবা বাবলু মিয়া জানান, তার মেয়ের মোবাইল পেয়ে হাবিবা আক্তারের ঘরে এসে দড়জা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করতে থাকে।

কোন সারা না পাওয়ায় একই এলাকায় বসবাসরত সাইফুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তার মা আয়েশাকে সাথে নিয়ে আবারও মেয়েকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে সাইফুল ইসলাম সু-কৌশলে মেয়ের ঘরের দরজা খুলে পালিয়ে যায়। ঘরে ঢুকে তারা হাবিবা আক্তারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর থেকেই সাইফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, মেয়েটির বাবা বাবলু মিয়া বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তার লাশ পোস্ট মোর্টেমের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।