রংপুর জেলা প্রতিনিধি : পেশাদার এক ফটোগ্রাফারকে গুরুতর আঘাত করে মৃত ভেবে তার ক্যামেরা ও নগদসহ পালিয়ে যাওয়া দুইজনকে গ্রেফতার করেছে মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রংপুর নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের বড়বাড়ি মুক্তারপাড়া এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে সাঈদ ও নুরপুর এলাকার রাজুর ছেলে সীমান্ত। এসময় ছিনতাই হওয়া ক্যামেরা ও নগদ উদ্ধার করা হয়।

আজ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান। সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) শাহ নুর আলম পাটোয়ারী, সহকারী পুলিশ সুপার (কোতয়ালী জোন) মো: আরিফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে অভিযুক্ত সাঈদ বোনের বিয়ের ছবি তোলার কথা বলে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার বাশহাটি তালজাঙ্গা এলাকার আনোয়ার মিয়ার ছেলে ফটোগ্রাফার বিল্লাল হোসেনকে ডেকে আনে। পরে নগরীর বড়বাড়ি এলাকার সিংগীমারীর এলাকার বাগানবাড়িতে ভিডিওর কথা বলে সাঈদ ও তার বন্ধু সীমান্ত মিলে ফটোগ্রাফার বিল্লাল হোসেনকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে।

রক্তাক্ত অবস্থায় বিল্লাল হোসেনকে মৃত ভেবে আনুমানিক ১১ লাখ টাকার ক্যামেরা ও ৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুরে বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে প্রায় ৪৫ ঘন্টা পর বাগানবাড়িতে মুর্মূষু অবস্থায় একজনকে পরে থাকতে দেখে পুলিশের জরুরি সেবায় ফোন দেয় স্থানীয়রা।

রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এক পুলিশ সদস্যসহ দু’জন রক্ত প্রদান করে ভুক্তভোগীকে। বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফটোগ্রাফার বিল্লাল হোসেন।

ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই মোনায়েম খান বাদি হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুরে বন্ধুর বাড়ি থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান জানান, গ্রেফতারকৃত দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।