ভিডিও

ভুয়া চিকিৎসকের হাতের ছাপ নিয়ে রোগ নির্ণয়

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০৮:২৫ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০৯:৩৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় হাতের ছাপ নিয়ে বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের নামে রোগীদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপরাধে প্রদীপ সরকার (৩৫) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে জেল-জরিমানা করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিকুল ইসলাম।

এ সময় আদালতকে সহযোগিতা করেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অভিজিৎ পাল ও থানা পুলিশের একটি দল।  

সাজাপ্রাপ্ত প্রদীপ বানিয়াচং উপজেলার নোয়াবাদ গ্রামের প্রফুল্ল সরকারের ছেলে।

জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে প্রদীপ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি অস্থায়ী ঘরে চেম্বার স্থাপন করেন। সেখানে একটি ল্যাপটপ ও হাতের ছাপ নেওয়ার যন্ত্র রাখা ছিল। হাসপাতালে যাওয়ার পথে রোগীদের থামিয়ে তিনি হাতের ছাপ সংগ্রহ করে রোগ নির্ণয়ের নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। রোববার বিকেলে এই অভিনব চিকিৎসা পদ্ধতি দেখে স্থানীয় সাংবাদিকসহ আশপাশের লোকজন প্রদীপকে ঘেরাও করে রাখেন। ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হন।

পরে অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি ও উপস্থিত সাক্ষীদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম দেশের ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক প্র্যাকটিশনার্স অর্ডিন্যান্স আইনে প্রদীপকে তিন মাসের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রদীপ সরকার প্রায় ছয় বছর ধরে মানুষের সঙ্গে এমন প্রতারণা করে আসছেন। এর আগে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর, জেলেহাটি, শুকড়িবাড়ি, ফতেহপুর ও বিরাট গ্রামের কিছু মানুষ তার অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, ভুয়া চিকিৎসক প্রদীপ হাতের ছাপ নিয়ে জানান তার ব্রেইনে সমস্যা রয়েছে। পরে কিছু ভিটামিন ওষুধ ও ইউনানি সিরাপ হাতে ধরিয়ে দিয়ে নগদ ছয় হাজার টাকা নিয়েছেন।

ডা. অভিজিৎ পাল জানান, ডাক্তার পরিচয় দেওয়া প্রদীপ চিকিৎসা বিজ্ঞানে লেখাপড়ার কোনো দলিল দেখাতে পারেননি। তার এমন মনগড়া অপচিকিৎসায় যেকোনো সময় মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।

এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ভুয়া চিকিৎসক প্রদীপ তার দোষ স্বীকার করেছেন। সাজার আদেশে দেওয়ার পর তাকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ সময় তার চেম্বার থেকে ওজন মাপার মেশিন, ল্যাপটপ, হাতের ছাপ নেওয়ার যন্ত্র, কিছু ওষুধ ও ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ জব্দ করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS