ভিডিও

যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ যানজটে নাকাল বগুড়াবাসি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ১০:২২ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০২:০৫ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরে ভেঙে পড়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা। যানজট বেড়েই চলেছে শহরে। প্রতিনিয়ত যানজটে পড়ে নাকাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দিন দিন শহরে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। এ সব যানবাহনের অধিকাংশই অবৈধ। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে চারগুণ বেশি যানবাহন চলে শহরে। যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগকে।

বগুড়া শহরকে বলা হয়ে থাকে রিকশার নগরী । শহরে ৫০ হাজারের মত রিকশা চলাচল করে। যার মধ্যে ৪৫ হাজারের মতো রিকশা ব্যাটারি চালিত। এই রিকশাগুলোর সরকারি অনুমোদন নেই। এগুলো অবৈধ। মজার ব্যাপার হলো শোরুম থাকলেও এই রিকশাগুলো বৈধ। বৈধভাবেই রিকশাগুলো আমদানি করা হয়। অথচ ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো রাস্তায় নামলেই হচ্ছে অবৈধ।

এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। সেইসাথে শহরে চলাচল করে ১৫ হাজারেরও বেশি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। যার বেশিরভাগেরই রেজিস্ট্রেশন নম্বর নাই। এগুলোও অবৈধ। এছাড়া ইজিবাইকও চলাচল করে কয়েক হাজার। এ গুলোরও রেজিষ্ট্রেশন নেই। মূলত অবৈধ যানবাহনের চাপেই শহর যানজটের ভারে নূয়ে পড়েছে। যানজটের ঢেউ আছড়ে পড়ছে শহরের লিংক রোডগুলোতে। এতে যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা জানা যায়, শহরের সবচেয়ে যানজটপ্রবণ এলাকা হলো সাতমাথা, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, চাঁদনী বাজার, ফতেহ আলী বাজার মোড়, চেলোপাড়া মোড়, জলেশ্বরীতলা কালিবাড়ি মোড়, ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড়, এক, দুই ও তিন নম্বর রেল গেইট এলাকা, চকযাদু রোড, স্টেশন রোড, গোহাইল রোড শেরপুর রোড, দত্তবাড়ি, বড়গোলা, টিনপট্টি. মেরিনা রোড এলাকা।

এ শহরের সেউজগাড়ী, কামারগাড়ী মোড়, বাদুড়তলা এলাকার লিংক রোড এলাকাতেও যানজট বাড়ছে। সেইসাথে চারমাথা, বনানী ও মাটিডালি মোড় এলাকাতেও যানজটের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এ সব পয়েন্টে যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়া ফুটপাত দখল উৎসবতো আছেই। বিশেষ করে শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কের দুপাশে, স্টেশন রোডের দু’পাশে, চকযাদু রোডের দুপাশে, চাঁদনী বাজার ও ফতেহ আলী মোড় এলাকার দু’পাশে ফুটপতগুলো সবচেয়ে বেশি ফুটপাত দখল করে পসরা সাজানো হয়ে থাকে।

ফলে পথচারীদের ফুটপাত দিয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। যে কারণে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় নেমে পড়েন মানুষ। এজন্য যানজট ও মানবজটে একাকার হয়ে যায় সড়কগুলো।

সদর ট্রাফিক বিভাগের ইনচার্জ মো: মাহবুবুল আলম খান জানান, বগুড়া শহরে যানবাহনের ধারণ ক্ষমতা ২০ হাজার। অথচ এর চারগুণ বেশি যানবাহন চলাচল করে। ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ সাধ্যমতে কাজ করছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS