ভিডিও

রমেক হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিটের নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম ব্যাহত

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৬:৩৭ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৬:৩৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার অন্যতম ভরসাস্থল হলো ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকা এবং বিদ্যমান অচল যন্ত্রপাতি সংস্কারের অভাবে বর্তমানে আইসিইউটির নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এতে রংপুরাঞ্চলের হতদরিদ্র অসংখ্য মানুষ বিনামূল্যে আইসিইউ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি বাবদ মুমূর্ষু রোগীর স্বজনদের চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ নভেম্বর  রমেক হাসপাতালের ২য় তলায় ১০ বেডের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রতিটি বেডে অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর সুবিধাসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসক এবং নার্স এর সেবাসহ আইসিইউ এর সকল সুবিধা কোন চার্জ ছাড়াই মুমূর্ষু রোগীরা বিনামূল্যে পেয়ে থাকে। শুরু থেকে ডায়ালাইসিস মেশিন না থাকায় যে সব মুমূর্ষু রোগীর কিডনি ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন হয় তাদের রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া ৫ বছর ধরে অচল হয়ে আছে হার্টের ইকোমেশিন এবং ২ বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে বুকের পোর্টেবল এক্সরে মেশিন। ফলে মুমূর্ষু রোগীদের বিকল্প উপায়ে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।

রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা এলাকার বাসিন্দা মো. রাজু বলেন, তার শ^শুর দুলা মিয়াকে (৭০) মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারনে আইসিইউতে ভর্তি করিয়েছেন। বর্তমানে তাদের খরচ বলতে ওষুধে কিনতে যে খরচ হচ্ছে সেটিই। অপরদিকে রংপুর নগরীতে যদি কোন বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিটে এই রোগীদের রাখা হতো তাহলে প্রতিদিন শুধু আইসিইউ চার্জ দিতে হতো প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া ওষুধসহ অন্যান্য খরচতো আছে।

রমেক হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিট প্রধান ডা. জামাল উদ্দিন মিন্টু বলেন, আমাদের বেড কখনো ফাঁকা থাকে না। তবে নিশ্চিত হতে চাই প্রকৃত রোগীকে আইসিইউ ইউনিটে রাখা হয়েছে কিনা। এজন্য প্রাপ্ত আবেদন যাচাই বাচাই করে রোগী ভর্তি করা হয়। আমাদের কোন ফিস দিতে হয় না।

রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে দু’টি ইকো মেশিন রোগীদের সেবা দিচ্ছে। তবে আইসিইউ ইউনিটের জন্য আলাদা একটি ইকো মেশিন এবং পোর্টেবল এক্সরে মেশিনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত পাওয়া যাবে।

এছাড়াও আইসিইউ এর জন্য একটি ডায়ালাইসিস মেশিন চাওয়া হয়েছে। হয়তো এটি সময় সাপেক্ষ। রমেক হাসপাতালে ৫ বেড করে  শিশু এবং গাইনী আইসিইউ নতুন ইউনিট চালুর কার্যক্রম প্রাথমিক পর্যায় রয়েছে। এগুলো চালু হলো এ অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা সহজ হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS