ভিডিও

বেইলি রোডে আগুন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হারিয়ে অঝোরে কাঁদছেন আশিক

প্রকাশিত: মার্চ ০২, ২০২৪, ০৭:৫১ বিকাল
আপডেট: মার্চ ০২, ২০২৪, ০৭:৫১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নোয়াখালী প্রতিনিধি: কোনো সান্ত্বনা বাক্যই বিচূর্ণ হৃদয়কে শান্ত করতে পারছে না। প্রিয়তমা স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে হারিয়ে অঝোরে কেঁদে যাচ্ছেন ছায়েক আহমেদ আশিক। রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। স্ত্রী নাফিজা আক্তার (৩০), ৭ বছরের আরহান ও সাড়ে ৩ বছরের আদিয়াতসহ তিন সদস্যকে হারিয়ে বিলাপ আর সৃষ্টিসকর্তার প্রতি আশ্রয় প্রার্থনা করছেন তিনি। অনবরত হৃদয় বিদীর্ণ করা কান্না আর বিলাপ ছুঁয়ে যাচ্ছে স্বজন ও এলাকার মানুষদের।

সরেজমিনে শুক্রবার  দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তফা কন্ট্রাক্টর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় স্বজনদের আহাজারি। এলাকার অগণিত মানুষের ভিড়। এ সময় নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। স্বজনদের কান্নায় সেখানে শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আকস্মিক এমন করুণ মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসী হতবাক হয়ে যান। জুমার নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় মা ও দুই সন্তানদের মরদেহ।

স্বজনরা জানান, বেইলি রোডের খুব নিকটেই তাদের বাসা। নাফিজা আক্তার তার বড় ছেলে আরহানের পরীক্ষা শেষ হওয়ায় দুই ছেলেকে নিয়ে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাইতে রাতে খেতে যান। তার স্বামী যাওয়ার কথা থাকলেও কোনো এক ব্যস্ততায় তিনি যেতে পারেননি। না গিয়ে তিনি হয়তো বেঁচে গেছেন কিন্তু স্ত্রী ও আদরের সন্তানদের হারিয়ে এখন বেদনায় মুহ্যমান। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে।

আশিকের শ্বশুর মো. জাকারিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, সন্তানদের নিয়ে খেতে গিয়েছিলো ফিরলো লাশ হয়ে। ওরা অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যায়নি আগুনের ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে দমবন্ধ হয়ে মারা গেছে।   

নোয়াখালী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল বারী আলমগীর জানান, এলাকার বৌ হিসেবে খুবই ভদ্র, বিনয়ী আর নিরহংকারী ছিল নাফিজা। এলাকার সবাই আজ শোকাহত।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS