ভিডিও

চুরির ৭ মাস পর সেই নবজাতক উদ্ধার, ভাড়াটিয়াসহ গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: মার্চ ০৫, ২০২৪, ০৭:৪৯ বিকাল
আপডেট: মার্চ ০৫, ২০২৪, ০৭:৪৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লা থেকে চুরি হওয়া সেই নবজাতককে সাত মাস পর উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার সদস্যদের অভিযানে সোমবার রাজধানী ঢাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাসার ভাড়াটিয়াসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। 
গ্রেফতার আসামিরা হলেন মুরাদনগর উপজেলার নিয়ামতপুর এলাকার জাকির হোসেনের স্ত্রী পারভীন (৩০) ও জেলার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আব্দুল মালেকের মেয়ে জেসমিন। 
জানা গেছে, গত বছরের ১৩ আগস্ট কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে চার দিন বয়সী ওই নবজাতক চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় নবজাতকের বাবা মো. জসিম উদ্দীন (৪৫) কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। পিবিআই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায়। 
গ্রেফতার আসামিদের বরাতে পিআইবি জানায়, পারভীনের সঙ্গে জেসমিন কথোপকথনে জানায় তার একটি ছেলে থাকলে ভালো হতো। এ সময় পারভীনও তার কথা বুঝতে পেরে তাকে বলে, যদি ৫০ হাজার টাকা দেয় সে একটি নবজাতক এনে দিতে পারবে। পরে তারা পরিকল্পনা করে, নবজাতককে এনে দিলে জেসমিন তাকে নিয়ে পালাবে। নবজাতকের নানি নুরজাহান বেগম (৬০) তাকে নিয়ে বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করার সময় তাদের বাসার ভাড়াটিয়া পারভীন নবজাতকের শারীরিক সমস্যার কথা বলে বড় ডাক্তার দেখানোর জন্য বলে। নবজাতকের মাকে কিছু না জানিয়ে পারভীন তার নবজাতকসহ নানিকে নিয়ে টিকিট কাউন্টারে যায়। এ সময় জেসমিন নুরজাহান বেগমকে বলেন, আপনি বৃদ্ধ মানুষ বাচ্চাকে আমার কোলে দেন। বাচ্চা সঙ্গে থাকলে তাড়াতাড়ি টিকিট দেবে। নুরজাহান বেগম সরল বিশ্বাসে নবজাতককে ওই নারীর কাছে তুলে দিয়ে একপাশে দাঁড়ায়। এই সুযোগে জেসমিন নবজাতককে চুরি করে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে পারভীনকে টিকিট কাউন্টারের কাছে পেয়ে ওই নারীর কথা জিজ্ঞেস করলে সে তাকে দেখেনি বলে জানায়। চারদিকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে পরে পুলিশকে অবহিত করা হয়। এ ঘটনার ৭ মাস পর পিবিআই তাকে উদ্ধার করে। 
মঙ্গলবার দুপুরে পিবিআই কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মফজল আহমদ খান। তিনি বলেন, ‘শিশুটিকে ঢাকা মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জেসমিনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর সে স্বীকার করে তার সহযোগী পারভীনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে (৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করে) ছেলেশিশু ক্রয় করে। পারভীন নবজাতকের মায়ের অজান্তে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে নানিসহ জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এরপর কৌশলে জেসমিনের নিকট নবজাতককে বুঝিয়ে দিয়ে টাকা আদায় করে। এ বিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শেষে আদালতে পাঠানো হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ পরিদর্শক হিলাল উদ্দিন, মঞ্জুর আলম, বিপুল চন্দ্র দেবনাথসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS