ভিডিও

ভুল তথ্যের চিকিৎসায় মাতৃগর্ভে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৪, ০৬:০৫ বিকাল
আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৪, ১১:১৬ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভুল তথ্যের চিকিৎসায় মাতৃগর্ভে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পৌর শহরের লক্ষীপুর এলাকার বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান আবেদীন হাসপাতালের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন শিশুটির স্বজনরা। এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় প্রসূতি নারীর স্বামী আজাহারুল ইসলাম খান বাদী হয়ে আবেদীন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. উম্মুল খায়ের মাহমুদাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন- ডা. আমিন উদ্দিন আহম্মেদ, ডা. উম্মুল খায়ের মাহমুদা ও ডা. ফারজানা রহমান। প্রসূতি নারী পৌর শহরের চন্ডিবের খাঁ বাড়ির আজাহারুল ইসলাম খানের স্ত্রী প্রমি খানম।

জানা গেছে, প্রসূতি প্রমি খানম গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই আবেদীন হাসাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত বুধবার তার আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন হাসপাতালের ডা. আমিন উদ্দিন আহম্মেদ। রিপোর্ট দেখে হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডা. উম্মুল খায়ের রোগীর স্বজনদের জানান বাচ্চা ডেলিভারি হতে আরও একমাস সময় বাকি আছে। কিন্তু রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে স্বজনরা পুনরায় ১৫ মার্চ ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার উম্মুল খায়ের মাহমুদা একপর্যায়ে বলেন রোগীর অবস্থা বেশি ভালো না। রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করা লাগতে পারে। আপনারা রোগীকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যান। তখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তড়িঘড়ি করে রোগীকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। কিন্তু ঢাকার একটি হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে ডাক্তার দেখেন তিন থেকে চার দিন আগেই নবজাতকটি গর্ভাবস্থায় মারা গেছে। দায়িত্বশীল ডাক্তারের দেওয়া ভুল তথ্যের ফলেই নবজাতকটি মারা যায় বলে স্বজনদের অভিযোগ।

প্রসূতি নারীর স্বামী আজাহারুল ইসলাম খান জানান, দীর্ঘদিন পর আমার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হয়েছিলেন। আমি টাকা পয়সা ইনকাম করছি পরিবারের জন্য। আজ আবেদীন হাসপাতালের ডাক্তারদের ভুল ইনফরমেশনের কারণে আমি আমার নবজাতক সন্তান হারিয়েছি। একাধিকবার আল্ট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও তারা সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। শুধু পরীক্ষার নামে টাকা নিয়েছে। ঢাকায় নেওয়ার পর ডাক্তাররা কয়েকটা পরীক্ষা করেই বলেছে আমার স্ত্রীর পেটে সন্তানের হার্টবিট চলছে না। পরক্ষণে সিজার করে দেখেন নবজাতক শিশুটি মৃত। আমি আবেদীন হাসপাতালের ডাক্তারদের বিচার চাই। এ বিষয়ে ডা. উম্মুল খায়ের মাহমুদার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে হাসপাতালটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ভুল চিকিৎসার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমাদের হাসপাতালে সিজার অপারেশনটি হয়নি। ঢাকায় একটি হাসপাতালে নবজাতক মারা গেছে। ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS