ভিডিও

মেঘনায় ট্রলারডুবি : পুলিশ সদস্যসহ আরও দু’জনের মরদেহ উদ্ধার, মৃত ৮

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪, ১১:২৯ দুপুর
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৪, ০২:৪৪ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

মফস্বল ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ পুলিশ সদস্যসহ আরও দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে ভৈরবের পুলতাকান্দা ব্রিজ এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আরেকজন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দের (৪৫) মরদেহ লালপুর ঘাটের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো পুলিশ সদস্য সোহেল রানার ছেলে রাইসুল (৫) নিখোঁজ রয়েছে।

ভৈরব নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল ৮টার দিকে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা ও বেলন দের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সদস্য সোহেল রানার ছেলে শিশু রাইসুল এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তৃতীয় দিনের মতো আমাদের উদ্ধারকাজ চলছে। 

এ নিয়ে আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন, পুলিশ সদস্যের মেয়ে মাহমুদা (৭), নরসিংদীর বেলাব থানার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮), শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫), পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৫) ও শহরের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী টুটন দের মেয়ে আরাধ্য (১১) এবং ঘটনার দিন সুবর্ণা বেগম নামে ভৈরব কমলপুরের এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ভৈরবের মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ১৫ থেকে ২০ জন দর্শনার্থী যাত্রা করেন। মাঝ নদীতে যাওয়ার পর কয়েকজন যাত্রী ছবি তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তখন তিনি বইঠা ছেড়ে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এ সময় নৌকাটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড নৌকাটি ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় দুর্ঘটনা ঘটায় রাতে অন্ধকারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করতে পারেননি, এ জন্য তারা উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখেন। গত শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবরি দল এসে আবার উদ্ধারকাজ শুরু করে আজ তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS