ভিডিও

বগুড়া জেলা মহিলাদলের সভানেত্রী লাভলী রহমানের ইন্তেকাল, শোক

প্রকাশিত: এপ্রিল ০১, ২০২৪, ১২:১৯ দুপুর
আপডেট: এপ্রিল ০১, ২০২৪, ০৭:২৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও বগুড়া জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী লাভলী রহমান আর নেই। আজ সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেছেন(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো প্রায় ৬৩ বছর।

তিনি এক ছেলে এক মেয়েসহ অসংখ্যগুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মহিলা দলের এই নেত্রী বগুড়া জেলা মহিলা দলের পর পর দুই বার সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং বগুড়া জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ছিলেন।

এছাড়াও তিনি বগুড়া জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা ছিলেন। তার মেয়াদে বগুড়ায় নারী ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়। মহিলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যেগে তিনি নারী ক্রিকেটের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন এবং শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে প্রশিক্ষণ চলে।

এছাড়াও তিনি বহু সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। সাহিত্য সংগঠন প্রিয় পাঠকের সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। তার স্বামীর নাম ছিলো মোছাব্বির রহমান বাবলু। বগুড়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুর রহমান বিটুর বড় ভাবী ছিলেন তিনি। এই নেত্রী তার শ্বশুরের নামে প্রতিষ্ঠিত আব্দুল জোব্বার মেমোরিয়াল প্রি ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেছেন।

লাভলী রহমানের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছ, সকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে বগুড়া শহরের মফিজ পাগলার মোড়স্থ একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

লাভলী রহমানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তারা প্রিয় নেত্রীর মৃত্যু সম্পর্কে খোজ খবর নিতে তার ফুলবাড়িস্থ বাড়িতে যান। সেখানে মরহুমের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং শান্তনা দেন।

আজ সোমবার (১ এপ্রিল) তারাবিহ নামাজ শেষে রাত ১০ টায় শহরের ফুলবাড়ি মধ্যেপাড়া ঈদগাহে নামাজে জানাজা শেষে ঈদগাহ সংলগ্ন গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। লাভলী রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শোক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতি দাতাদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার শোকবার্তায় বলেন, লাভলী রহমানের মৃত্যুতে তার পরিবারবর্গ ও নিকটজনদের মতো আমিও গভীরভাবে সমব্যাথী। তিনি নিজ এলাকায় দলকে শক্তিশালী ও মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর নীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শন বুকে ধারণ করে গণতান্ত্রিক অধিকারের স্বপক্ষে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।

তার রাজনীতির মূল লক্ষ্যই ছিল জনগণের কল্যাণ সাধন। দোয়া করি-মহান রাব্বুল আলামীন যেন তাকে জান্নাত নসীব এবং শোকাহত পরিবারবর্গকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন।

আরও শোক বিবৃতি দিয়েছেন, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক রহিমা খাতুন মেরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এড. আলী আসগার, সাধারণ সম্পাদক এড. মোজাম্মেল হক, ফোরাম নেতা, এড. একেএম মাহবুবর রহমান, এড. একেএম সাইফুল ইসলাম, এড. আতাউর রহমান খান মুক্তা, এড. জহুরুল হক জাফর, এড. আতাউর রহমান, এড. শাজাহান আলী খান, এড. শেখ রেজাউর রহমান মিন্টু, এড. রফিকুল ইসলাম (১), এড. আব্দুল বাছেদ, এড. আসাদুজ্জামান মাখন, এড. শামসুদ্দিন স্বপন, এড. তারিফুল ইসলাম সাচ্চু, এড. নাজমুল হুদা পপন, এড. সুফিয়া বেগম কোহিনুর, এড. মোসলেম উদ্দিন লিটন, এড. আতাউর রহমান আতিক, এড. আব্দুল ওয়াহাব, এড. নূরে আজম বাবু, এড. হুমায়ন কবির, এড. মাহফুজার রহমান মাসুদ, এড. আব্দুল মতিন মন্ডল, এড. আমিনুল ইসলাম শাহিন, এড. হারুনার রশিদ, এড. পিএম হেলাল, এড. শফিকুল ইসলাম টুকু, এড. হেলাল প্রাং, এড. আব্দুল মান্নান, এড. আব্দুল হাকিম, এড. নাজমুল হাসান, এড. মিজানুর রহমান, এড. জেরিন, এড. জাকারিয়া সরকার, এড. একেএম ফজলুল হক, এড. মাহবুবা খাতুন, এড. শরিফুল ইসলাম হিরা, এড. শাহজাদী লায়লা আরজুমান বানু, এড. আজাদ, এড. মাসুদার রহমান স্বপন, এড. এনামুল বারী মুঞ্জু, এড. জাহিদুল বারী মুন্নু, এড. আরাফাত খাতুনে জান্নাত নীলা, এড. আবু জাভেদ জয়, এড. রুহুল আমিন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS