ভিডিও

গোবিন্দগঞ্জে গড়ে ওঠেছে ছিনতাইসহ টাকা হাতিয়ে নেওয়া একাধিক চত্রু

প্রকাশিত: এপ্রিল ০১, ২০২৪, ০৫:২৩ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ০১, ২০২৪, ০৫:২৩ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

গোবিন্দগঞ্জ (গাাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক কেন্দ্রিক গড়ে ওঠেছে ছিনতাইসহ কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক প্রতারক চত্রু। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হালকা গ্রাহকসেবা ও সেবাদানে আন্তরিকতার ঘাটতির কারণে এবং ঘটনার পর তা উদ্ধারে পুলিশি তৎপরতা না থাকায় বার বার এই সব চক্র অনেকটা সক্রিয় থাকার সুযোগ পাচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা।

গোবিন্দগঞ্জ ব্যবসায়িক ও যোগাযোগের দিক থেকে অনেকটা ভাল অবস্থায় থাকায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৌর প্রায় ১৫টি ব্যাংক তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনলাইন সেবা ভাল থাকায় এই ব্যাংকগুলির মাধ্যমে এখন মূহুর্তে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা তাদের পরিবারের কাছে টাকা পাঠান।

যেকারণে ব্যাংকের ওপর  প্রবাসী পরিবারগুলো অনেকটা নির্ভশীল হয়ে পড়েছেন। এই সুযোগে ছিনতাইকারী ও প্রতারকরা ব্যাংকপাড়া ঘিরে তাদের অপতৎপরতা   বাড়িয়ে দিয়েছে।

গত কয়েক বছরের ছিনতাইকারী ও প্রতারক চক্রের অপরাধ সংঘটনের ধরণ দেখে একাধিক ভুক্তভোগীর ধারণা এই চক্রটির ব্যাংকের অভ্যন্তরে তাদের সোর্স পাঠিয়ে দিয়ে মোবাইলে তাদের সাথে গ্রাহকের টাকা উত্তোলন করে সে টাকা কীভাবে বহন করছে, তার সাথে কয়জন রয়েছে, এধরণের নানা তথ্য দেয়ার পর বাকি পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাইরে অবস্থানকারী ছিনতাইকারী ও প্রতরক চক্র।

ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে নামার পরপরই তারা কখনও জোর করে আবার কখনও রিকসাওয়ালা সেজে গ্রাহককে তুলে নিয়ে তাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে এই অপরাধী চত্রেুর প্রথম টার্গেট নারী এবং শহরের বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের।

ডাচবাংলা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় গত বছরের ৩ ডিসেম্বর  রোববার বেলা দেড় দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের বুজরুক বোলিয়া দুর্গাপুর গ্রামের বিজিবি সদস্য আসাদুজ্জমানের স্ত্রী আফিয়া আক্তার নামের এক মহিলার কাছ থেকে কৌশলে এক লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

তিনি নিজের একাউন্ট থেকে ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এরপর টাকাগুলো ভ্যানিটি ব্যাগে ভরিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামার সময় ছিনতাইকারীরা কৌশলে তাদের এক নারী সদস্য অসুস্থতার ভান করে জটলা সৃষ্টি করে। এই ফাঁকে কৌশলে তার ব্যাগ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী চক্রের অন্য সদস্যরা।

বিদেশ থেকে টাকাগুলো তার ভাই ক্রয়কৃত জমির মূল্য পরিশোধের জন্য পাঠিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ব্যাংক এবং থানায় অভিযোগ করে তেমন কোন সহায়তা পাননি। এধরণের অনেক ঘটনা রয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যাংকে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের  ধারণা  গ্রাহকদের  নিরাপত্তার জন্য ব্যাংকগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার অপর্যাপ্ত নয়।

এছাড়াও ব্যাংকের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখার বিষয়টি অনেকটা অবহেলিত। যে কারণে এধরণের ঘটনা ঘটিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের গোবিন্দগঞ্জ শাখার ম্যানেজার বলেন, গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব সময় সচেষ্ট।

তারপরও কিছু অনাঙ্খাখিত ঘটনা ঘটছে। আমরা এসব বিষয় মাথায় রেখে গ্রাহকসেবা আরও বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি ব্যাংক ও গ্রাহকের নিরাপত্তা বাড়াতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তাও চাওয়া হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ বলেন, যেকোন ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে গাইবান্ধা পুলিশ সুুপারের নির্দেশে সকল ব্যাংকের ম্যানেজারদের সাথে আলোচনা সভা করেছি। এছাড়াও আসন্ন ঈদে ব্যাংকসহ সকল ব্যবসায়ীর নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ সচেষ্ট থাকবে। সেই সাথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাদা পোশাকে এবং ব্যাংকগুলোতে পুলিশের নজরদারি রয়েছে এবং পোশাকধারী পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS