ভিডিও

শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: বড় মনিরকে কলেজ সভাপতির পদ থেকে অপসারণ

প্রকাশিত: এপ্রিল ০১, ২০২৪, ০৬:১৪ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ০১, ২০২৪, ০৬:১৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগের নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরকে ‘লোকমান ফকির মহিলা কলেজ’ এর সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

সভাপতি পদে তার মনোনয়ন বাতিল করে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘নৈতিক স্খলন, একজন কলেজ শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসদাচারণ ও ধষর্ণের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত টাঙ্গাইলের লোকমান ফকির মহিলা কলেজের সভাপতি মো. গোলাম কিবরিয়াকে তার পদ থেকে অপসারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বাধীন এডহক কমিটির মেয়াদ হবে সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে নিয়মিত গভর্নিং বডি গঠন করতে হবে।’

গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। তার অনুরোধেই ভূঞাপুরের লোকমান ফকির মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদে বড় মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এমনটা জানিয়েছিলেন খোদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।

সভাপতি পদে নিয়োগের দুই সপ্তাহ পরে অস্ত্রের মুখে কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তুরাগে তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে।

পর গত ২৯ মার্চ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে আসা একটি ফোন কলের সূত্র ধরে তুরাগ থানার প্রিয়াঙ্কা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী। তবে ওইদিন রাতেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বড় মনির।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS