গোবিন্দগঞ্জ ও মহিমাগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী এমরান আলী হত্যার চার আসামি গ্রেফতার হয়েছে। মাত্র ৭২ ঘন্টার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলা থেকে র্যাব-১৩ ও র্যাব-১৪ এর যৌথ আভিযানিক দল তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত চারজন হলো- মামলার ২নং আসামি মো. মোতাকাব্বের, ৩নং আসামি মো. শাকিব, ৫নং আসামি মো. শাহাদত ও ৬নং আসামি মো. সুলতান। র্যাব-১৩, রংপুর এর অধিনায়কের কার্যালয়ের আজ বুধবার (৮ মে) ১৪০১/অপারেশন্স/০৩ নং স্মারক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অধিনায়কের পক্ষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপ-পরিচালক (মিডিয়া) স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শনিবার বিকেলে ফোন করে এমরান আলীকে মহিমাগঞ্জ বাজারের মোনার মোড় নামক স্থানে একটি দোকানে ডেকে নেয় আসামিরা। এসময় বিভিন্ন ধারাল অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার ওপর আক্রমণ করে তারা। উপর্যুপরি ধারাল অস্ত্রের আঘাতে তার অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হলে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেøক্সে নিয়ে যান।
হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরে নিহতের পিতা শালমারা ইউনিয়নের উলিপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ বাদি হয়ে ১১ জনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৩, সিপিসি-৩ গাইবান্ধা ও র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ছায়াতদন্তে নামে। এরই অংশ হিসেবে ৭ মে দিবাগত মধ্যরাতে টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলার সখিপুর থানাপাড়া এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ওই চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের পরিচয় নিশ্চিতের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আজ বুধবার (৮ মে) গোবিন্দগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ র্যাবের যৌথ আভিযানিক দল কর্তৃক এমরান আলী হত্যা মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।