ভিডিও

হাসপাতালে গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালালেন শাশুড়ি-ননদ

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৪, ০৮:০২ রাত
আপডেট: মে ১৫, ২০২৪, ০৮:০২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৫ মে) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

তার গৃহবধূর নাম বিনা খাতুন (২২)। তিনি উপজেলার নন্দলালপুর গ্রামের মাঠপাড়া এলাকার আমিন হোসেনের স্ত্রী।

 

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে নন্দলালপুর গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় বিনা খাতুনের। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য বিনাকে মারধর করতেন। সইতে না পেরে বিয়ের পরেও প্রায় এক বছর বাবার বাড়িতে থাকতেন বিনা। এসব নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়। গত শুক্রবার ২৫ হাজার টাকা যৌতুকসহ সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যান বিনা খাতুন।

বুধবার দুপুরে শাশুড়ি শিল্পী ও ননদ মুক্তা খাতুন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে সুযোগ বুঝে মরদেহ রেখে তারা পালিয়ে যান।

 

বিনার বাবা বিল্লাল শেখ বলেন, বিয়ের পর থেকে মেয়ের শাশুড়ি শিল্পী ও ননদ মুক্তা ১০ লাখ টাকা ও একটি মোটরসাইকেলের জন্য নির্যাতন করতেন। আমি গরীব বলে টাকা দিতে পারিনি। গত শুক্রবার টাকা দিয়ে তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়েছিলাম। আজ শাশুড়ি-ননদ মিলে আমার মেয়েকে হত্যা করে হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়েছেন।

কুমারখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) দিবাকর হলদার জানান, হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে হাসপাতালে শ্বশুরবাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS