নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই মেম্বারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফুটবল খেলার উছিলায় চাঙ্গা হওয়া বিরোধে সংষর্ষে প্রাণ গেল বৃদ্ধের। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ গণহারে আটক করেছে দুই মেম্বারের লোকজনকেই।
আব্দুল কাইয়ুম (৬৫) নামে ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি মো. এনামুল হক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কান্দিউরা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার লতিফ মাস্টার ও বর্তমান সাজু মেম্বারের আধিপত্য নিয়ে বিরোধে জেরে শনিবার বিকালে বিষ্ণুপুর গ্রামের মাঠে শিশুরা বল খেলছিলো। এসময় বলটি পাশের একটি জমিতে চলে গেলে বিরোধ থাকা সাবেক লতিফ মেম্বার ও বর্তমান সাজু মেম্বারের লোকজনদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সন্ধ্যায় ঝগড়ার পর দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। রাতে ওই এলাকায় দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ থেকে জনের মতো আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৯ জনকে ময়মনসিংহ পাঠানো হলে রাত ১০ টার দিকে বর্তমান সাজু মেম্বার গ্রুপের আব্দুল কাইয়ুম (৬৫) নামে একজন মারা যান। তিনি বিষ্ণুপুর গ্রামের আসর আলীর ছেলে।
আহতদের মধ্যে হুমায়ুন কবির (৩৯) হাবিবুল্লাহ (৪৫) মাসুদ রানা(২৪) মামুন(২৫) কামরুল(৩৫), মিনারুল ইসলাম (৩২) হিরন মিয়া(১৩) ইব্রাহিম (৫৫) ও আজিবুরকে (৩৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাজেদুল রহমান সাজু জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিষ্ণপুর গ্রামের দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। কাইয়ুম নামে একজন মারা গেছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, সাবেক ও বর্তমান দুই মেম্বারের অধিপত্য নিয়ে বিরোধ ছিলো। শিশুদের ফুটবল খেলায় বল চলে যাওয়া একটা অযুহাত মাত্র। তারা সংঘর্ষে জড়ালে একজন নিহত হন। তিনি বর্তমান সাজু মেম্বারের লোক। ঘটনাস্থল থেকেই ৩০ থেকে ৩২ জনের মতো আটক করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই তাদেরকে আটক করা হয়েছে। যাচাই বাছাই করে নির্দোষদের ছেড়ে দেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।