ভিডিও

সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে উড়ে গেছে বাড়িঘর, ভেঙেছে গাছপালা

প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৪, ০৮:২৯ রাত
আপডেট: মে ২৮, ২০২৪, ১০:৪৪ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলীয় কয়েকটি এলাকা। এরই মধ্যে টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের ৫০০ বাড়িঘর উড়ে গেছে। ভেঙে গেছে গাছপালা। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে দ্বীপের চারপাশে ভাঙন ধরেছে। এ ছাড়া শাহপরীর দ্বীপে পশ্চিম বাঁধের দেড় কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে রবিবার এসব তথ্য জানিয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সমুদ্রে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে দ্বীপের ডেইলপাড়া, পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়া, পূর্বপাড়ার কিছু অংশ সমুদ্রে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া দেড়শ ঘরবাড়িসহ বিপুল পরিমাণ গাছপালা ভেঙে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু ঘরবাড়ি পুরোপুরি এবং কিছু আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৫ মাছ ধরার ট্রলার ভেঙে গেছে। এখনও বাতাস বইছে। কোথাও কোথাও গাছপালা ও কাঁচা বাড়িঘর ভেঙে গেছে। তবে জলোচ্ছ্বাস হয়নি। তবে সকালে বৃষ্টি কমলেও বাতাসের গতি বেড়েছে।’

দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত দুই দিনে বৃষ্টি ও সমুদ্রের স্রোতে দ্বীপের কোনারপাড়া, পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়া ও উত্তরপাড়ায় ভাঙন ধরেছে। এতে দ্বীপের বসতি, কেয়াবাগান, নারিকেলবাগান ও নিশিন্দাবাগানের গাছগাছালি ভেঙে পড়ে গেছে। এ ছাড়া দ্বীপের তীরে গড়ে ওঠা হোটেল-মোটেলের অংশে ভাঙন ধরেছে। এ কারণে জরুরিভিত্তিতে দ্বীপ রক্ষার দাবি জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মোহাম্মদ নোমান বলেন, ‘সমুদ্রে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে দ্বীপের কয়েকটি অংশে ব্যাপক ভাঙন ধরেছে। স্মরণকালের ভয়াবহ ভাঙন এটি। তা ছাড়া ২০০ বছর আগে এ দ্বীপে বাসিন্দা ছিল মাত্র ১৩ জন। বর্তমানে ৯ হাজারের বেশি মানুষ এখানে বসবাস করছেন। তার ওপরে গড়ে উঠেছে অবৈধ হোটেল-মোটেল। দ্বীপ নিচের দিকে দেবে সমুদ্রের স্রোতে ভেঙে যাচ্ছে। এই দ্বীপকে রক্ষা করতে হলে জরুরিভিত্তিতে চারদিকে বাঁধের কোনও বিকল্প নেই। এ ছাড়া বৃষ্টি ও বাতাসে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে গেছে।’

এদিকে সাবরাংয়ে ঘরবাড়ির চেয়ে লবণচাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমের বেড়িবাঁধের একটি অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমার এলাকায় সব মিলিয়ে তিনশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ সুপারি গাছ ভেঙে গেছে।’

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন, ‘সকাল থেকে বৃষ্টি কমলেও এখনও বাতাস বইছে টেকনাফ উপজেলায়। এতে সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপের ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা কোন কোন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোর তথ্য সংগ্রহ করছি। এ ছাড়া চিংড়িঘের ও লবণচাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS