ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : জেলার পীরগঞ্জে একটি আমবাগান থেকে গত সোমবার রেজিয়া খাতুনের (৪৮) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই জেলা পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা পুলিশের আয়োজনে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হিসাব ও অর্থ) ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোছা. লিজা বেগম, সিনিয়র এএসপি মো. ফারুক, পরিদর্শক নিরস্ত্র (ডিআইও-১), ডিএসবি (এএসপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল মতিন প্রধান, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের কানাড়ী গ্রামের একটি আমবাগান থেকে রেজিয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে জুলফিকার আলী রুবেল (২৮) বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে পীরগঞ্জ উপজেলার কানাড়ী গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দীনের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৫) ও একই গ্রামের মৃত ধনীবুল্লাহের ছেলে মো. এনতাজুলকে (৪৪) গ্রেফতার করে।
রেজিয়া বেগমকে তারা কু-প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যান হলে তার মুখ চেপে ধরে ও গলায় উড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে গ্রেফতারকৃত ২ জন স্বীকার করেন। আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।