ভিডিও

কিশোর গ্যাংয়ের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলি-ককটেল বিস্ফোরণ

প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৪, ০৯:৪৬ রাত
আপডেট: মে ৩১, ২০২৪, ০৯:৪৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের দু’পক্ষে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। 
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার তারাব বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পথচারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ২০টি দোকান ও ১৫টি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের পর লুটপাট চালায় সন্ত্রাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৮ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। 
সংঘর্ষের পর পুলিশ হৃদয় খাঁন (২৫) নামের একজনকে আটক করেছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। 
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারাব পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তারাব বাজার এলাকাটি একটি শিল্প ও জনবহুল এলাকা। এখানে চুরি, ছিনতাই, রোড ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধের ঘটনা ঘটে। আর এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে দুইটি কিশোর গ্যাং। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে দেন তারাব উত্তরপাড়া এলাকার বকুল ভুইয়ার ছেলে শিমুল ভুইয়া। অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দেন রোবেল মিয়া, শ্রাবণ ওরফে কুত্তা শ্রাবণ ও আকবর বাদশা। 
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বৃহষ্পতিবার বিকেলে কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান শিমুলকে মারধর করেন রোবেল মিয়া, শ্রাবণ ওরফে কুত্তা শ্রাবণ ও আকবর বাদশা গ্রুপের লোকজন। এ নিয়ে উভয়পক্ষে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকা থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সদস্যরা রামদা, চাপাতি, পিস্তলসহ নানা ধরনের অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়। রাত ১০টার দিকে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ফাঁকা গুলি বর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা তারাব বাজারের রাস্তায় টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে। 
দোকানে হামলা চালিয়ে দোকান ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৮ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 
সংঘর্ষে পথচারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কহিনুর বেগম ও বাদল মিয়া নামে দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ হৃদয় খাঁন নামের একজনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS