ভিডিও

দুপচাঁচিয়ার গাড়ীবেলঘড়িয়া প্রাইমারি স্কুলে কক্ষ সংকট : পাঠদান ব্যাহত

প্রকাশিত: জুন ০১, ২০২৪, ০৮:১৭ রাত
আপডেট: জুন ০১, ২০২৪, ০৮:১৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়ার শত বছরের গাড়ীবেলঘড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কক্ষ সংকটের কারণে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তাটিও একটি বড় সমস্যা।

জানা গেছে, ১৯০৩ সালে প্রায় ২০ শতক জায়গার উপর তালোড়া ইউনিয়নের গাড়ীবেলঘড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৯৭ সালে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় তিনটি শ্রেণি কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। শত বছরের পুরাতন বিদ্যালয়টি পূণঃনির্মিত ভবনটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে।

দেওয়ালের প্লাষ্টার উঠে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে ছাদ দিয়ে পানি চুয়াচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ এই ভবনে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করছে। বিদ্যালয়টিতে পয়ঃনিষ্কাশনের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। বিদ্যালয়ের মাঠের এক কোণায় ছোট আকারে একটি বাথরুম নির্মাণ করা হলেও তার অবস্থা করুণ। বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে।

এই বিদ্যালয়টিতে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতিটি কক্ষে দুটি করে বুথ তৈরির মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। এলাকার মানুষরা দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান করে। ফলে ভোটারদেরও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এই ভোট কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে চি‎ি‎‎‎‎‎হ্নত হয়ে থাকে। এছাড়াও গ্রামের চলাচলের ইটের রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে ও ডেবে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই ভাঙ্গা ও ডেবে যাওয়া জায়গায় পানি জমে থাকছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজা খাতুন জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ৫জন। বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৮৮ জন।

বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষ সংকট একটি বড় সমস্যা। বিদ্যালয়ের একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য একাধিকবার উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়েছেন। ২০২১ সালে ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা দিয়ে পাশে একটি রুম তৈরি করেছেন। তিনটি শ্রেণি কক্ষে গাদাগাদি করে দুই শিফটে পাঠদান চলছে। কক্ষ স্বল্পতার কারণে পাঠদানে চরম বিঘ্ন ঘটছে। ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে জরুরী সংস্কার করা প্রয়োজন। একই সাথে তিনি জানান বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তাও একটি বড় সমস্যা।

এ লক্ষ্যে তিনি শিক্ষা বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টিও কামনা করেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কফিল উদ্দিন সরকার জানান, গাড়ীবেলঘড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সিদ্ধান্তের কপিসহ কর্তৃপক্ষের নিকট নতুন ভবনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। একই সাথে জানান, পুরাতন ভবনটি ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের আওতায় মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ কবেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS