ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাদ্রাসাছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে সাইফুর রহমানকে দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে ভাঙ্গা থানার পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডে ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার হওয়া চেয়ারম্যানপুত্রের দুই সহযোগী হলেন, চান্দ্রা ইউনিয়নের গোয়ালদী গ্রামের তাহসিন মুন্সী ও মুন্না মিয়া।

এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে শনিবার সকালে ভাঙ্গা থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই তিন তরুণকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার এক মাদরাসাছাত্রী ও তার বন্ধু একই উপজেলার গুপ্তেরকান্দি গ্রামের ইউনুস সরকারকে নিয়ে ভ্যানযোগে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ইন্টারসেকশনে ঘুরতে আসে। ভাঙ্গা থেকে সন্ধ্যায় পুনরায় ভ্যানযোগে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোড দিয়ে শিবচরের দিকে যাওয়ার সময় ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা নামকস্থানে ফাঁকা জায়গায় পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেল ভ্যানের গতিরোধ করে। এ সময় চেয়ারম্যানপুত্র সাইফুর রহমানসহ মোটরসাইকেল আরোহী আরও দুইজন ভ্যানচালককে মারধর করে। মাদরাসাছাত্রীর বন্ধু ইউনুস সরদারকেও মারধর করে। এরপর ওই কিশোরীকে রাস্তা থেকে পাশের ঝোপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই সার্ভিস রোড দিয়ে ভাঙ্গা থানার টহল পুলিশের একটি দল যাচ্ছিল। পুলিশ চিৎকার শুনে জঙ্গল থেকে মাদরাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় সাইফুর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। তার অন্য দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে সাইফুর রহমানের স্বীকরোক্তি অনুযায়ী গতকাল সকাল ১০টার দিকে অপর দুই সহযোগী তাহসিন মুন্সী ও মুন্না মিয়াকে আটক করে পুলিশ।

ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আল রশিদ বলেন, প্রধান অভিযুক্ত সাইফুর রহমান ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে। মামলায় ওই তিন তরুণকে গ্রেফদার দেখিয়ে গতকাল দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।