ভিডিও

ধুনট উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সংঘাতের শঙ্কা

প্রকাশিত: জুন ০২, ২০২৪, ০৯:০০ রাত
আপডেট: জুন ০২, ২০২৪, ০৯:০০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কোন্দল-বিরোধে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলের আশঙ্কা বিরাজ করছে স্বয়ং প্রার্থীদের মাঝে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থেকে কর্মী সমর্থকদের মাঝে চলমান বাক যুদ্ধ যে কোনো সময় রূপ নিতে পারে সংঘাতে। যতই সময় গড়িয়ে যাচ্ছে ততই উৎতপ্ত হচ্ছে ভোটের মাঠ।

আগামী ৫ জুন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ প্রার্থী। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআইএম নুরুন্নবী তারিক (ঘোড়া), সহ-সভাপতি আব্দুল হাই খোকন (মোটরসাইকেল) ও সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল সনি (আনারস)। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করে প্রার্থীদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পর্যন্ত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীদের ভোট প্রার্থনার কৌশল দেখে ভোটাররা অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন। কাকে রেখে কাকে ভোট দিবেন। হেভিওয়েট ৩ প্রার্থী ভোটের মাঠে সমানতালে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরোধ এখন তুঙ্গে। দলীয় কোন্দল, পদপদবি, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে বিভক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ। তাই প্রার্থীরা একে অপরকে ছাড় দিতে নারাজ। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী সভায় এক অপরকে বিষোদগার করে যাচ্ছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) ও নির্বাচনী সভায় কথার তুমুল লড়াই চলছে দুই প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের মধ্যেও তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির প্রচার প্রচারণায় কোন বিরোধের আবাস পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভোটার তাদের যুক্তি তর্ক দিয়ে বলেন এবার নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হবে এই উপজেলায়।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো উপজেলা। তবে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভোট নিয়ে তেমন কোনো মাতামাতি নেই। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারেও মুখ খুলছেন না অনেকেই। কয়েকজন বলেন, সামনের কয়েক দিনে প্রার্থীরা ভোটারদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ভোট উৎসবের আমেজ ফেরাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে তাদের।

তবে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে প্রতিদিনই মোটরসাইকেল মহড়া ও মিছিল বের করছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলের কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের মাঠ উন্মুক্ত করা হয়েছে। এবার নেই দলীয় প্রতীকও। একাধিক শক্ত প্রার্থী থাকায় প্রতিদিনই চলছে নির্বাচনী মতবিনিময়, পথসভা ও প্রচার-প্রচারণা।

ভোটারদের সমর্থন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রার্থীরা। আর প্রার্থীদের পক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তাদের কর্মী-সমর্থকেরা। বিজয় সুনিশ্চিত করতে কেউ কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলছেন না। উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভোটার আকবর আলী বলেন, তিনজনই হেভিওয়েট প্রার্থী।

এবার দলীয় প্রতীক না থাকায় ত্রিমুখী লড়াই জমবে। শান্তিপূর্ণ ভোটের আশা করছি। এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি, কাকে ভোট দেব। একই এলাকার ভোটার গোলাম রহমান ও আলাউদ্দিন বলেন, সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হবে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সজাগ রয়েছি।

দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে অপ্রীতিকর কিছু ঘটনা ঘটেছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট উপহার দিতে প্রশাসন সার্বক্ষণিক কাজ করছে। আশা করি ভোটের দিনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকবে। ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল আমীন বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর কোনো সুযোগ থাকবে না। ভোট কাটা বা কেন্দ্র দখল করার চিন্তাভাবনা যারা করবেন, তাদের তাৎক্ষণিক আইনের আওতায় আনা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS