ভিডিও

ভেজাল ও নিম্নমানের মসলা রক্ষা করতে গোডাউন বদলাচ্ছে বগুড়ার ব্যবসায়ীরা

মসলার নামে কী খাচ্ছে জনগণ?

প্রকাশিত: জুন ০৩, ২০২৪, ১০:১৬ রাত
আপডেট: জুন ০৩, ২০২৪, ১০:১৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার ডজন খানেক পাইকারী মসলা ব্যবসায়ীসহ অন্য মসলা ব্যবসায়ীরা তাদের গোডাউন থেকে মসলা সরাতে শুরু করেছে। ভেজাল ও নিম্নমানের মসলার গোডাউনে যে কোন সময় ভেজাল বিরোধী অভিযান হতে পারে, এই আশংকায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা গোডাউন বদল করছে।

অন্যদিকে মরিচ, হলুদ, ধনে ও জিরার গুড়ায় ধানের তুষ  মেশানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। পবিত্র ঈদ উল আযহার আগে প্রতি বছর মসলার বাজার গরম হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রতিটি মসলার দাম কেজি প্রতি ২শ’ থেকে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারে।

সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন তিন মাস আগেই প্রযোজনীয় মসলা আমদানি করা হয়েছে। আগে আমদানি করা থাকলেও ঈদের আগ মুহূর্তে দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। একই সাথে বাজারে  ভেজাল, পোকাধরা এবং মেয়াদউত্তীর্ণ মসলায় সয়লাব হয়ে গেছে।

বাজার ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত এরকম এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আগে কালো এলাচের সাথে ‘তারা গোটা’ নামে একটি বন্যফল মেশানো হতো। এখন তারা গোটা আর দেওয়া হচ্ছেনা। খাতুনগঞ্জসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে নিম্নমানের এলাচ কিনে এনে পানি ও রং মিশিয়ে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।

এর সাথে ভেজা অবস্থায় ধানের তুষ মেশানো হচ্ছে। ভেজা অবস্থায় তুশ এলাচের সাথে আটকে ওজন বাড়াচ্ছে। প্রতিমন মসলার সাথে ১০ থেকে ১২ কেজি পানি ও তুষ মেশানো হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সাদা এলাচ নামে পরিচিত মসলার ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বর করা হচ্ছে। পানিতে ভিজিয়ে ওজন বাড়ানো হচ্ছে। শুধু এলাচ নয় জিরার প্যাকেটে মৌরি মেশানো হচ্ছে। নিম্নমানের কালো জিরা এনে  ধোয়ার নামে রং করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বগুড়া শহরের বাদুড়তরা এলাকায় একটি মশলার গোডাউনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। সেখানে ভেজাল মশলা পাওয়া গেছে, যা সীল গালা করা হয়েছে। ওই গোডাউনে অভিযান চালানোর পর অন্য ব্যবসায়ীরা তাদের মসলার গোডাউন থেকে মসলা সরাতে শুরু করেছে। বাদুরতলা, নামাজগড়ের অনেক মসলার গোডাউন এখন ফাঁকা করা হয়েছে। বাড়ি ভাড়া করে সেখানে  মসলা রাখা হয়েছে।

বাজার ব্যবস্থাপনায় জড়িত এই ব্যক্তি আরও বলেন, তিনি ইতোপূর্বে ভ্রাম্যমান আদালতের টিমের সাথে থেকে দেখেছেন শুকনা মরিচ, হলুদ, ধনে, জিরা গুড়াতে ধানের তুষ মেশানো হয়। ভেজাল মসলার গুড়ার বাজার বগুড়া শহরে না থাকলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এসব কমদামে বিক্রি হচ্ছে।

শরীরের অন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর ভেজাল মসলা প্রত্যান্ত অঞ্চলে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। গ্রামের অল্প আয়ের সহজসরল মানুষেরা এই মসলা কিনে খাচ্ছেন। ইতোপূর্বে বগুড়া শহরের রাজাবাজারে ভোজাল হলুদ ও মরিচের গুড়া জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে ভোর থেকে সকাল ৯ টার মধ্যে ধনে, জিরা, হলুদ, মরিচগুড়ায় ভেজাল মেশায়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS