ভিডিও

চিকিৎসার নামে যৌন নির্যাতন, প্রতিশোধ নিতে কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত: জুন ০৪, ২০২৪, ১০:১৮ রাত
আপডেট: জুন ০৪, ২০২৪, ১০:১৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসার নামে এক নারীকে যৌন নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে গ্রাম্য কবিরাজ আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই শেখকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই নারীর স্বামী রুবেল মিয়া ও তার চাচাতো ভাই সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (০৪ জুন) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। গ্রেফতারকৃত রুবেল মিয়া (২৩) সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের আব্দুর সেলিমের ছেলে এবং সোহেল রানা (২০) একই গ্রামের আনিসের ছেলে। গত ১ জুন সকালে সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ-জুগিরহুদা রাস্তার পাশের একটি মাঠ থেকে রাজ্জাকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্ত্রীকে যৌন নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে রাজ্জাককে হত্যা করেছে বলে রুবেল মিয়া স্বীকার করেছেন উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, ‘১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন রুবেল। হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু, মোটরসাইকেল ও নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।’ 

স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ সুপার ফয়জুর রহমান বলেন, ‘রাজ্জাক গ্রামে কবিরাজি করতেন। গত ৩১ মে সন্ধ্যায় রুবেল ও তার স্ত্রী চিকিৎসার জন্য কবিরাজের কাছে যান। রাজ্জাক জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে রুবেল ও তার স্ত্রীকে সদর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা ব্রিজ সংলগ্ন পানের বরজের কাছে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে রুবেলকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠান। কিছুক্ষণ পর রুবেল ফিরে এসে কবিরাজ ও স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে স্ত্রীর মোবাইল নম্বরে কল দেন। কিন্তু ফোন বন্ধ পেয়ে আশপাশে খুঁজতে থাকেন। ৩৫-৪০ মিনিট পর কবিরাজ ও রুবেলের স্ত্রী আগের স্থানে ফিরে আসেন। এ সময় রুবেল তাদের দেখে অনৈতিক কাজের সন্দেহ করেন। পরে বাড়ি ফিরে রুবেল জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্ত্রী কান্নাকাটি করে কবিরাজের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হন বলে জানান।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘ওই দিন রাতে সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে কৌশলে কবিরাজকে ডেকে আনেন রুবেল। কবিরাজকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর ঘটনাটি তদন্ত করে পরদিন রুবেলকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সহযোগী চাচাতো ভাই সোহেলকে একই গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরি, মোটরসাইকেল ও ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS