ভিডিও

শেরপুরের উপজেলা নির্বাচনে নানা অভিযোগ এনে পুনর্নির্বাচন দাবি

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ০৮:৩১ রাত
আপডেট: জুন ১১, ২০২৪, ১০:৪১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : শেরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল জালিয়াতি, কারচুপি, জাল ভোট প্রদান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাই ওই নির্বাচন বাতিল করে পুর্ননির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল রবিবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান পরাজিত পাঁচ চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবেক যুবলীগ নেতা এমএ হান্নান (জোড়া ফুল)। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরাজিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিধান ঘোষ (টিয়া পাখি), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা খাতুন ময়না (কলস), মর্জিনা খাতুন (ফুটবল) ও ফিরোজা খাতুন (প্রজাপতি)।

সংবাদ সম্মেলনে এমএ হান্নান বলেন, নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার ইন্ধনে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা পক্ষপাতিত্ব করে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করেছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘোষিত ফলাফলের সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের ঘোষণা করা ফলাফলের মিল নেই। অনেক কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সামনেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়েছে।

ফলাফল ঘোষণা করার আগে লিখিত অভিযোগ করা হলেও একতরফাভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী শিখা খাতুনের (হাঁস) পক্ষে ভোট গণনার ফলাফল পরিবর্তন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন পরাজিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজা খাতুন অভিযোগ করে জানান, ভোট গণনা শেষে উপজেলার “পানিসারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়”  কেন্দ্রে তার প্রজাপতি প্রতীকে ১৪৪টি ও হাঁস মার্কায় ২৫৩টি ভোট পড়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু উপজেলায় এসে তার ভোট দেখানো হয়েছে ৬৭টি আর হাঁস মার্কার ভোট ৫১৩টি।

চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও  একতরফাভাবে তাকেই ঘোষণা করা হয়। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী নির্বাচনে কারচুপি ও ফলাফল জালিয়াতির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অনিয়মের বিষয়ে কোনো প্রার্থী তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি।

তবে ভোটের দিন রাত আটটায় একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমি তৎক্ষণিক সেটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি। এছাড়া তেমন কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি বলে মন্তব্য করেন। গত ৫জুন চতুর্থধাপে এই উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS