ভিডিও

বকেয়া টাকা না পাওয়ায় দিশেহারা নওগাঁর চামড়া ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৪, ০৬:২৩ বিকাল
আপডেট: জুন ১৫, ২০২৪, ০৬:২৩ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নওগাঁ প্রতিনিধি : ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে বছরের পর বছর বকেয়া টাকা না পাওয়ায় দিশেহারা নওগাঁর চামড়া ব্যবসায়ীরা। ফলে চলতি বছর চামড়া কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। কোরবানি উপলক্ষে পশুর চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি শুরু করেনি চামড়া ব্যবসায়ীরা। এছাড়া চামড়া প্রস্তুতির প্রধান উপকরণ লবণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।

চামড়া শিল্পকে রক্ষা করতে জেলাভিত্তিক চামড়া ব্যবসায়ীদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়াসহ সরকারের নজরদারি বাড়ানো গেলে আবারো ঘুরে দাঁড়াবে এই মূল্যবান চামড়া খাতটি, এমনটিই মনে করছেন উত্তরবঙ্গের চামড়ার অন্যতম মোকাম নওগাঁর ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যেই সরকার চামড়ার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে।

ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। গতবারের তুলনায় খাসির কাঁচা চামড়ার দাম ২ থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ৬ টাকা বাড়িয়ে ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলায় প্রতি মৌসুমে চামড়া লবণজাত করতে প্রয়োজন হয় অন্তত ৩৫০ মেট্রিক টন লবণ। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৭৪ লাখ টাকা। প্রতিবস্তায় লবণের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। মোটা লবণের দাম ৯০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা। এতে চামড়া সংরক্ষণের খরচ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া সরকার চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিলেও ট্যানারি মালিকরা সে দামে কিনে না। সিন্ডিকেট থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে এক প্রকার জিম্মি।

অপরদিকে শ্রমিকরা জানায়, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০টি চামড়া গুদাম ছিলো। যেখানে সারাবছর প্রায় শতাধিক শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ছিল। বর্তমানে রয়েছে ২টি গুদাম। যেখানে কাজ করেন মাত্র ৫ জন। তবে কোরবানির মৌসুমে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করে। চামড়া গুদামে কাজ করা অনেক কষ্টের হলেও সে তুলনায় টাকা না পাওয়ায় শ্রমিকরা ভিন্ন পেশায় চলে গেছে।

নওগাঁ জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মো. মোমতাজ হোসেন বলেন, গত বছর জেলায় গরু-মহিষ ও ছাগল-ভেড়াসহ প্রায় ১লাখ ৬৫ হাজার পিস চামড়া প্রস্তুত করা হয়েছিল। যার বাজারদর প্রায় ৬ কোটি টাকা। এ বছরও একই পরিমাণ চামড়া কিনে প্রস্তুত করা হবে।

গত ৫ বছরে (২০১৯-২৩ সাল) জেলার প্রায় ১৫০ জন চামড়া ব্যবসায়ী ট্যানারি মালিকদের কাছে প্রায় ৫ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। বকেয়া টাকা পাওয়া গেলে আবারও ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়াবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS