ভিডিও

বেনাপোলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৪, ০৬:৩৭ বিকাল
আপডেট: জুন ১৫, ২০২৪, ০৬:৩৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদের ছুটি। টানা ৫ দিনের ছুটি পেয়ে অনেকেই ছুটছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। শনিবার (১৫ জুন) বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ছিল ভারতগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।

 

বেনাপোল চেকপোস্টে ইমিগ্রেশনে শনিবার দুপুরে দেখা যায়, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অপেক্ষা করছেন কয়েক হাজার মানুষ। তাদের সেই লাইন ডেস্ক থেকে বারান্দা পেরিয়ে পৌঁছেছে ইমিগ্রেশন ভবনের বাইরের প্রধান সড়কে। তীব্র গরম আর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। অন্যদিকে যাত্রীদের চাপে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ঈদে টানা ৫ দিনের সরকারি ছুটি পাওয়ায় ভারতে ভ্রমণকারী এবং চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া যাত্রীদের চাপ বেড়েছে বেনাপোল বন্দরে। তবে এখানে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। ঈদের ছুটি উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার  থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ২ দিনে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন প্রায় ২২ হাজার ১১৩ মানুষ। এর মধ্যে ভারতে গিয়েছেন ১৫ হাজার ৩৬৩ জন এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ৬ হাজার ৭৫০ জন মানুষ।

 

ভারতগামী যাত্রী নাসিম রানা জানান, ঈদের ছুটিতে ভারতের দর্শনীয় স্থান ঘুরতে যাচ্ছেন। কিন্তু এখানে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা তীব্র গরম আর রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ধীরগতিতে কাজ করায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে কখন ইমিগ্রেশন পার হবেন বলতে পারছেন না। যাত্রীদের দুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটি উপলক্ষে গত দুই দিনে ২২ হাজারের বেশি যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন। স্বাভাবিক সময়ে এ সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে থাকে। তবে এবার রেকর্ডসংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেছেন। যাদের অধিকাংশই ঈদ ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছেন। ঈদের সময়ে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় নিয়ে বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে দ্রুত যাতে তারা পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করতে পারেন সেজন্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।

পেট্রাপোলে দুর্ভোগের বিষয়ে তিনি বলেন, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ওসির সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে তাদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ওসি জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশনে দেরি হচ্ছে না। দেরি হওয়ার মূল কারণ বিএসএফের তল্লাশি। এরপরও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাগিদ দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS