ভিডিও

বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৪, ০৭:৫৫ বিকাল
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৪, ০৭:৫৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

যশোর প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় দায়িত্বরত আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা পাসপোর্ট যাত্রীদের বেধড়ক লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন।

বুধবার সকালে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে অনেক যাত্রী সঙ্গে থাকা ব্যাগ ফেলে ছোটাছুটি শুরু করেন। এ ঘটনায় কিছু সময় যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকে। পরে পোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা যায়, বুধবার সকাল ৮টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে ভারতগামী যাত্রীর দীর্ঘ লাইন ছিল। হঠাৎ ছিটেফোঁটা বৃষ্টি শুরু হলে ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে যাত্রীরা লাইন ভেঙে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বারান্দায় উঠে যায়। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত যাত্রীর ঠাসাঠাসিতে টার্মিনালের সামনের গøাস ভেঙে একজন আর্মড পুলিশ সামান্য আহত হন। এ সময় আর্মড পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীদের ওপর এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন।

ঢাকার এক পাসপোর্ট যাত্রী আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি সকাল থেকে তার স্ত্রীকে নিয়ে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে লাইন থেকে সরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বারান্দায় এসে ওঠেন। এ সময় আর্মড পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের এলোপাতাড়িভাবে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। পরে ঠেলাঠেলিতে একজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন।

ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী আনন্দ মন্ডল বলেন, ‘বৃদ্ধ বাবা-মা-শিশুদের নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর যে কি কষ্ট পুলিশ ও আনসার সদস্যরা বুঝবে কি করে। ওনারা টাকার বিনিময়ে লাইন ছাড়া যাত্রী পার করার কাজে ব্যস্ত থাকেন। বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।’

পাসপোর্ট যাত্রী কামনা বালা জানান, হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় রাস্তা থেকে একটু উপরে উঠেছি। প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বারান্দায় উঠতে পারবো না তাহলে ৬০ টাকা কিসের জন্য নেওয়া হলো। এখানে পুলিশ সদস্যদের যাত্রীদের মারধরের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।

পাসপোর্ট যাত্রী ইন্দ্রজিত জানান, বাধ্য হয়ে বিশেষ করে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিরা ভারতে যান। পুলিশ এবং আনসারদের এমন অন্যায় আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। সুষ্ঠুভাবে যাতে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারেন সে বিষয়ে দুই দেশেরই গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।

বেনাপোল বন্দরে দায়িত্বপ্রাপ্ত আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের ইনচার্জ বাদল চন্দ্র জানান, ‘আজ যাত্রীর অনেক ভিড় ছিল। এ কারণে তাদেরকে সামাল দিতে গিয়ে হয়ত কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আমার সদস্যরা কারো ওপরে লাঠিচার্জ করেনি।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS