ভিডিও

বরগুনায় ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস খালে বিয়েবাড়ি যাওয়ার পথে নিহতদের ৭ জনই এক পরিবারের

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৪, ০৯:৩৯ রাত
আপডেট: জুন ২৩, ২০২৪, ১২:০৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

মাদারীপুর প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে বিয়ে খেতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার নারী-শিশুসহ ৯ জন। তাঁদের মধ্যে ৭ জনই সাবেক সেনাসদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজের পরিবারের সদস্য। দুর্ঘটনার খবর শিবচরের ভদ্রাসন গ্রামে পৌঁছানোর পর থেকে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে এলাকা। স্বজন ও প্রতিবেশীরা ভিড় করছেন সবুজের বাড়িতে।

শনিবার দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া-হলদিয়া খালের ওপর লোহার ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নারী-শিশুসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন মাদারীপুরের শিবচরের সাবেক সেনাসদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজও।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১৯ জুন) সকালে শিবচর থেকে মাহাবুব এবং তার পরিবারের সদস্যরা খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গত শুক্রবার বরপক্ষ এসে বিয়ে করে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরে তাঁরা মাইক্রোবাসযোগে বউভাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাহাবুব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি হলদিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ লোহার ব্রিজ পার হওয়ার সময় ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়।

 

এ ঘটনায় ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলেন মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামি মুন্নি বেগম (৪০), তার সন্তান তাহিয়া (৭), তাসদিয়া (১১), আরেক মামি ফাতেমা বেগম (৪০), রুমি বেগম (৪০)। এ ছাড়া আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং কন্যা রিদি (৫)।

নিহতদের আত্মীয় শুক্কুর আলী নামের এক যুবক বলেন, ‘বুধবার বিয়ের অনুষ্ঠানে তাঁরা বরগুনা গেছিল। আজ দুপুরে ব্রিজ ভেঙে সেখানে খালে পড়ে যায় তাদের মাইক্রোবাসটি। মাহাবুবের মা, ভাইয়ের স্ত্রী ও মামার পরিবারের মোট ৭ সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে।’

 

দুলাল মাতুব্বর নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘পুরো গ্রাম শোকে স্তব্ধ। দুই পরিবারের মোট ৯ জন সদস্য মারা গেছে। আমরা খবর পেয়ে মাহাবুবের বাড়িতে এসেছি। ওদের পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই। সবাই ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। এখন বাড়িতে কেউ নেই।’

 

ভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ব্যাপারী বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েই বাড়িতে এসেছি। আসলে এত বড় দুর্ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। এখন তাদের মরদেহ বাড়িতে আনার প্রস্তুতি চলছে বলে খবর পেয়েছি।’

 

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS