ভিডিও

রাজবাড়ীতে আ. লীগের দুগ্রæপে সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৪, ০৭:১৭ বিকাল
আপডেট: জুন ২৪, ২০২৪, ০৭:১৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর পাংশায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের মাছপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সুজা উদ্দিন মৃধার মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি হয়।

আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পাংশা সরকারি কলেজ মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মাছপাড়া ইউনিয়ন থেকে দুই গ্রæপ আলাদা আলাদাভাবে যোগ দেন। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার সময় মাছপাড়া বাজার এলাকায় উভয় গ্রæপের নেতা কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান।

এ সময় দুই গ্রæপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন গুরুতর আহত হন। তারা হলেন মাছপাড়া ইউনিয়নের ছবুর মন্ডলের ছেলে তপু মন্ডল, আরশেদ শিকদারের ছেলে আরজু সরদার, আবুল মন্ডলের ছেলে মিরাজ মন্ডল, মো. সুলতান শেখের ছেলে জিহাদ শেখ ও হাসান শিকদারের ছেলে আলামিন শিকদার। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আহম্মেদ তিথি বলেন, ‘গতকাল একটি মারামারির ঘটনায় হাসপাতালে দুজন ভর্তি রয়েছেন।’

মাছপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মো. সুজাউদ্দিন মৃধা বলেন, ‘উপনির্বাচনে আমি নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো তার ছেলে খন্দকার তাজবীর হাসান সিসিলকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে আমার কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে মাছপাড়া বাজার এলাকায় বুড়ো ও তার ছেলে উপস্থিত থেকে আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে।’

অপরদিকে পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো বলেন, ‘তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাদের কোনো কর্মী সমর্থকই নাই। টাকা দিয়ে ৫০-৬০টি মোটরসাইকেল ভাড়া করে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তারা আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। আমি এবং আমার ছেলের জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য তারা এই মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। এমন একটি ঘটনা ঘটতে পারে বলে, আমি দুদিন আগেই পাংশা মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জকে জানিয়েছিলাম।’

পাংশা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুই পক্ষই অভিযোগ দেবে বলে জানিয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS